বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন বিশেষজ্ঞ দলের, ধনতেরাসের আগে চিন্তায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

বিল্ডিংগুলিতে মূলত কী কী কারণে লাগাতার বিপর্যয় ঘটছে এবং ঠিক কী পদক্ষেপ করলে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে সেই বিষয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। নতুন করে যেন আর কোনও বড় দুর্ঘটনা না হয় সেই বিষয় নিশ্চিত করতে চাইছেন তাঁরা।

 

বউবাজারের (Bowbazar) মেট্রোর কাজে বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ দল। বুধবার এই দলে ছিলেন কলকাতা পুরসভা (KMC), কেএমআরসিএল (KMRCL) এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রতিনিধিরা (Delegates)। একাধিক খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এছাড়া বিপজ্জনক বিল্ডিংগুলিতে আদৌ কোনও কাজ চালানো সম্ভব কী না তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বিল্ডিংগুলিতে মূলত কী কী কারণে লাগাতার বিপর্যয় ঘটছে এবং ঠিক কী পদক্ষেপ করলে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে সেই বিষয়ে নমুনা সংগ্রহের (Sample Collection) কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। নতুন করে যেন আর কোনও বড় দুর্ঘটনা না হয় সেই বিষয় নিশ্চিত করতে চাইছেন তাঁরা। এদিকে ধনতেরাসের আগে বিকিকিনি নিয়ে দুশ্চিন্তায় বউবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

বউবাজারে বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে ৭২ ঘণ্টা। ফাটল ধরেছে একের পর এক বাড়িতে। কাঠগড়ায় মেট্রো রেল (Metro Rail) কর্তৃপক্ষ। তিন বছরের আগের স্মৃতি উসকে ফিরেছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যে ঘরছাড়া একাধিক পরিবার। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের পুনর্বাসন ও আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ এখনও কাটেনি। বউবাজারের দুর্গাপিতুরি, স্যাঁকড়াপাড়ার পর এবার মদন দত্ত লেন। আর সেখানেই প্রথমে ১০টি এবং পরে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের আরও কয়েকটি বাড়িতে ফাটলের ঘটনা সামনে আসে। ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর আগে দুর্গাপিতুরি লেন, স্যাঁকড়াপাড়া লেনে ফাটল দেখা দিয়েছিল। বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যারা ঘরছাড়া তাঁরা কবে পুনরায় বাড়িতে ফিরতে পারবেন সে বিষয় এখনও অজানা। বর্তমানে টানেলের জলকে আটকানো গেলেও মদন দত্ত লেন সংলগ্ন অংশের মাটি শক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মেট্রো নির্মাণকারী সংস্থা কেএমআরসিএল। বিভিন্ন রাসায়নিক সহ সিমেন্ট ব্যবহার করে মাটিতে গ্রাউন্ডিংয়ের (Grounding) কাজ চলছে জোরকদমে।

এদিকে, বউবাজার এলাকায় রয়েছে একাধিক সোনার দোকান। এলাকার বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের (Gold Merchant) মাথায় হাত পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, যেখানে বসে তাঁরা কাজ করবেন, তারই ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। ফলে ধনতেরাসের (Dhanteras) আগে কার্যত ফ্যাসাদে পড়েছেন বউবাজারের সোনা ব্যবসায়ীরা।

Previous articleচোটে ছিটকে গেলেন আরও এক বোলার, বিশ্বকাপে আরও চাপে শ্রীলঙ্কা !
Next articleবিপুল ভোটে জিতে কংগ্রেসের নয়া সভাপতি মল্লিকার্জুন, অভিনন্দন শশীর