ফিরল স্বস্তি ! দোকান খোলা রাখতে পারবেন বউবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

সামনেই ধনতেরাস, দিওয়ালি!তা কাটতে না কাটতেই বিয়ের মরশুম।কিন্তু পুজোর পর কাজ শুরু করতেই বউবাজারে আচমকা বিপর্যয়ে মাথায় হাত পড়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। তবে তাঁদের সমস্যার সমাধান করল যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ দল।তারা জানিয়েছে, ১’টি সোনার দোকান ছাড়া বাকি ১৭’টি সোনার দোকান খুলে রাখতে কোনও অসুবিধা নেই। কেবলমাত্র ১টি সোনার দোকানকে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেবে KMRCL। কিছুদিনের মধ্যেই সেই রিপোর্ট দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন বিশেষজ্ঞ দলের, ধনতেরাসের আগে চিন্তায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা

উৎসবের আবহে মাথায় হাত বউবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের। বউবাজার এলাকায় রয়েছে একাধিক সোনার দোকান।গত শুক্রবার ভোরে মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। ফাটলের জেরে তড়িঘড়ি অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী সোনার গয়না গাঁটি ব্যাগ সুটকেস, ট্রাঙ্কে ভরে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে।

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কথায়, “কোভিড কালে এমনিতেই ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। সামনেই ধনতেরাস, দিওয়ালি! আর তারপরই বিয়ের মরশুম। প্রচুর অর্ডার হাতে রয়েছে। কীভাবে কী সামাল দেব তা ভেবেই আমাদের দিশেহারা অবস্থা। আপাতত দোকানের সব মাল নিয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেটাই করছি। কবে দোকানে ফিরতে পারব জানিনা, ক্ষতিপূরণের ব্যপারেও বিশদে কোন তথ্য জানা নেই। কাস্টমারদের কী করে অর্ডার ডেলিভারি দেব সেটাই এখন গভীর প্রশ্ন”।

যদিও তাদের চিন্তামুক্ত থাকার আশ্বাস দিয়েছে KMRCL। ইতিমধ্যেই এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট তৈরি করে রিপোর্ট তৈরি করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ইতমধ্যেই স্ট্রাকচারাল বিশেষজ্ঞরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এর মধ্যে গত রবিবার এক সোনার ব্যবসায়ী তার দোকান খুলে দেখেন, সিন্দুক সহ দোকানের একটা অংশ মাটির নীচে ঢুকে গেছে। স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আপাতত কোনও বিপদের সম্ভাবনা নেই বলেই উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাতেই স্বর্ণ ব্যববসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে।