নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন(Protest) চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৪ সালের টেট(TET) উত্তীর্ণরা। যদিও যেখানে তাদের আন্দোলন চলছে সেই জায়গায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা(IPC 144)। তা অমান্য করেই চলছে আন্দোলন। এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো আন্দোলনকারীদের ১৪৪ ধারা মানতে হবে। এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশকে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে কর্মীদের ঢোকা-বেরনোর ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকেই। একইসঙ্গে পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, পুলিশ কি পাওয়ারলেস?

২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লাগাতার ধরনার বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওর সাথে তরফে আদালতকে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস বন্ধ। আমরা সেখানে ঢুকতে পারছি না। সামনে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। মামলা দ্রুত শোনা হোক। আমরা আন্দোলনের বিরোধী নয়। আমরা চাই, আমাদের ৫০ জন কর্মী-অফিসারদের অফিসে ঢোকা বেরনো গাড়ি যাওয়া-আসার ব্যবস্থা করুক পুলিশ।

পাশাপাশি রাজ্যের তরফে জানানো হয়, “আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের সরাতে ব্যর্থ হচ্ছি। সেখানে হাসপাতাল আছে, অফিস আছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত এলাকা সেটা। কিন্তু সেখানে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে।” তারা আরও জানায়, “৯ অক্টোবর থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু সেটাও মানছে না। তাই আদালত পদক্ষেপ করুক।” এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের দ্বারা মানতে হবে। প্রয়োজনীয় পুলিশ দিয়ে কর্মীদের ঢোকা বেরনোর ব্যবস্থা করতে বিধাননগরের সিপিকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তারপরে রেগুলার বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।
