শর্তসাপেক্ষে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার অনুমতি আদালতের

আদালত জানিয়েছে, সাতদিনের প্রতিদিনই অনুব্রতর দেহরক্ষীকে দু'ঘণ্টা করে জেরা করতে পারবে ইডি। সকাল ১১টা থেকে ১২টা এবং মাঝে কয়েক ঘণ্টা বিরতির পর ফের ৩টে থেকে ৪টে অবধি জেরা করা যাবে সায়গলকে। সূত্রের খবর, দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর কথা ভাবছেন সায়গলের আইনজীবী।

গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী (Body Guard) সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) দিল্লিতে (Delhi) নিয়ে এসে জেরার (Interrogation) অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। দিল্লিতে এনে তাঁকে যাতে জেরা না করা হয়, সেই মর্মেই আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন সায়গল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি সুধীর কুমার জৈনের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, গরু পাচার মামলায় সায়গলকে ৬-৭দিন দিল্লিতে এনে জেরা করতে পারবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন দিল্লি আদালতে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে শুনানি চলে। বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন জানান, তদন্তের স্বার্থে যদি অল্প সময়ের জন্য সায়গলকে দিল্লিতে আনা হয়, তাহলে সমস্যা কোথায়? এরপর দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক তদন্তের স্বার্থে ৭দিন সময় ধার্য করেন। এরপরই শুনানি শেষে আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ৭ দিনের জন্য দিল্লিতে নিয়ে আসা যাবে।

বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন সায়গল হোসেনের আইনজীবী মনু শর্মা তাঁর মক্কেলকে দিল্লিতে এনে জেরার ক্ষেত্রে একাধিক শর্তের কথা জানান। এরপরই আদালতের তরফে জানান হয়, দিল্লিতে হেফাজত নয় শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়গলকে দিল্লিতে আনা হবে। আদালত আরও জানিয়েছে, একটানা জেরা করা যাবে না সায়গলকে। সাতদিনের প্রতিদিনই অনুব্রতর দেহরক্ষীকে দু’ঘণ্টা করে জেরা করতে পারবে ইডি। সকাল ১১টা থেকে ১২টা এবং মাঝে কয়েক ঘণ্টা বিরতির পর ফের ৩টে থেকে ৪টে অবধি জেরা করা যাবে সায়গলকে। সূত্রের খবর, দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর কথা ভাবছেন সায়গলের আইনজীবী।

অন্যদিকে, গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় সায়গলের উপরে যাতে ইডির তরফে মানসিক চাপ সৃষ্টি না করা হয় সেজন্য জেরার সময়ে আইনজীবী উপস্থিত থাকার আর্জিও জানিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইডির আধিকারিক ছাড়াও আইওএ অফিসার ও সায়গলের আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন। একই ঘরে উপস্থিত থাকলেও, আইনজীবীকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকতে হবে, যাতে তিনি কোনও প্রশ্ন শুনতে না পারেন। প্রসঙ্গত, নিজেকে বাঁচাতে আগেভাগেই ক্যাভিয়েট ফাইল (Caveat File) করেছেন সায়গল হোসেন। অতএব, ইডি যদি সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়, তবে সায়গল হোসেনের বক্তব্যও শুনতে হবে শীর্ষ আদালতকে।

 

Previous articleমেলবোর্ন পৌঁছাল ভারতীয় দল, ছবি পোস্ট বিসিসিআইয়ের
Next article“দুয়ারে রেশন” চালু রাখতে চায় মমতা সরকার, হাইকোর্টকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য