ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে বেড়েছে আসন সংখ্যা, ভোটের পর অনেকটাই বাড়বে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি

ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরেই আসন সংখ্যা বাড়ল অনেকটাই অর্থাৎ ভোটের পর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সংখ্যাও বাড়তে চলেছে পঞ্চায়েতে

বছর পেরোলেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। ২০১৮ সালে মে মাসে ভোট হয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে কয়রক মাস এগিয়ে আসলেও আসতে পারে ভোট। তার আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) তরফে প্রকাশিত হয়েছে পঞ্চায়েতের আসন পুনর্বিন্যাস তালিকা (Seat Rearrangement List)। সেই তালিকা অনুসারে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরেই আসন সংখ্যা বাড়ল অনেকটাই। অর্থাৎ, ভোটের পর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সংখ্যাও বাড়তে চলেছে পঞ্চায়েতে।

ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরেই আসন সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৮ সালে গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ছিল ৪৮,৬৫০টি। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৬২,৩৬২টি। অর্থাত্ মোট আসন বেড়েছে ১৩,৭১২টি। এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতিতে ২০১৮ সালে আসন ছিল ৯,২১৭। এবার তা ২৮১টি বেড়ে হয়েছে ৯,৪৯৮টি। অন্যদিকে, জেলা পরিষদে ২০১৮ সালে মোট আসন ছিল ৮২৫টি। এবার ১০৩টি আসন বেড়ে মোট আসন সংখ্যা হয়েছে ৯,২৮টি।

যেহেতু ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটারদের (Voter) তিনটি করে ভোট দিতে হয়। এবং তা হয় ব্যালট পেপারে (Ballot Paper), তাই ভোটগ্রহণ শেষ হতে অনেকটাই সময় লাগে। তাই কমিশন চেষ্টা করছে প্রতিটি বুথে যতটা সম্ভব কম ভোটার রাখা যায়। গত ২ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুথে ভোটারের সংখ্যা কমিয়ে ভোটগ্রহণ দ্রুত শেষ করতে চাইছে কমিশন। এভাবে পঞ্চায়েতের ৩টি স্তরেই আসন সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলা সফর গুলিতে গিয়ে সরকারি সফরে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে পড়ে থাকা কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের ধারণা পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসতেও পারে। অন্যদিকে, রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তালিকা সংশোধনের পর নভেম্বর (November) মাসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।

Previous articleঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ভেস্তে যাবে কালীপুজো?
Next articleআবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, ইডির হেফজতেই মানিক