বিজেপি পড়ুয়াদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সস্তা রাজনীতি করেছে : ফাঁসিদেওয়ায় তোপ কুণালের

একদিকে স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভান্ডার, ৬০ থেকে ৭০ টা প্রকল্প।সব বয়সী মানুষ কোনও না কোনও প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন।

ফাঁসিদেওয়া এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি ব্যাংকে সুদ কমিয়ে দিচ্ছে। আর এ রাজ্যে একটা সরকার আছে, যারা আপনার সংসারের খরচ কমিয়ে দিচ্ছে। বিনামূল্যে খাদ্য, বিনামূল্যে শিক্ষা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য। একদিকে স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভান্ডার, ৬০ থেকে ৭০ টা প্রকল্প।সব বয়সী মানুষ কোনও না কোনও প্রকল্পের আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন।

কুণাল বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে কোন সরকার আপনার জীবন যুদ্ধে পাশে থাকছে, আর কোন সরকার আপনার বেঁচে থাকাটাকে আরও কঠিন করে দিচ্ছে। কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা রাজ্যে এসে অভিযোগ করে রাজ্য সরকার নাকি কাজ করে না। অথচ কেন্দ্রের যখন রিপোর্ট বেরোয় তখন দেখা যায় এ রাজ্যই এক নম্বরে।

অধিকাংশ কাজই ঠিক হচ্ছে সামান্য কিছু কাজ ভুল হচ্ছে। এই সিপিএম বিজেপির জন্য ত্রিপুরায় ১০ হাজার এর উপর শিক্ষকের চাকরি চলে গেছে। ১০০ দিন ধরে ধরনা হচ্ছে সেখানে কিন্তু পুলিশ যায়নি, আর একদিন পুলিশ গেছে তাই নিয়ে এত কথা।যেটা ন্যায্য নয় জেনেও বিরোধী নেতারা সেই দাবি নিয়ে ওখানে গিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। বারবার বলা হয়েছে এভাবে রাস্তা আটকাচ্ছেন কেন, আপনারা কোর্টে যান। আর কোর্ট যখন ১৪৪ ধারা দেয়, পুলিশ মোতায়েন করতে বলে তখন এত কথা কিসের। তখন সেটা মানবো না কেন? দুমুখো নীতি তো চলবে না।

কুণাল এদিন সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, যারা সেদিন মাঝরাতে ছেলেমেয়েগুলোকে বিভ্রান্ত করতে গিয়েছিলেন কেন গিয়েছিলেন? কেন কোর্টে গেলেন না ? কোর্টে যাননি কারণ তারা জানতেন এই দাবিটার আইনি মান্যতা পাওয়া যাবে না।নাম না করে সিপিএম ও বিজেপিকে নিশানা করে কুণাল বলেন,ওরা ছেলেমেয়েগুলোকে বিভ্রান্ত করেছে সস্তা রাজনীতি করেছে, ওদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করেছে। পুলিশ সরিয়ে দিয়েছে কারণ, তার পরেরদিন ওই জায়গায় শিক্ষা দফতরে চাকরির ইন্টারভিউ ছিল।

তিনি মনে করিয়ে দেন, জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কবার এসেছেন জেলায়। বুদ্ধদেব ভটচার্য কবার এসেছিলেন জেলায়? আর এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতবার এখানে আসেন মানুষ দেখেন । একটি জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। ৯৯.৫ শতাংশ আমরা সঠিক। দশমিক 5 শতাংশ ভুল। এত ঠিক এর মধ্যে যারা ভুল করেছে, অন্যায় করেছে, সেই দশমিক পাঁচ শতাংশ ভুল দিয়ে ৯৯.৫% আড়াল করতে দেবো না। একজন অন্যায় করেছে বলে গোটা তৃণমূলকে কেউ কালিমালিপ্ত করবে এটা বাংলার মানুষ হতে দেবে না।

Previous articleচিনা কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের অনুষ্ঠান থেকে জিনতাওকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ, ভাইরাল ভিডিও!
Next article‘ভারত-পাকিস্তান ম‍্যাচে থাকে আলাদা পরিকল্পনা’ : বিরাট