দীপান্বিতার আরাধনায় ব্যস্ত রাজধানী, দিল্লির কালী মন্দির জুড়ে আলোর রোশনাই

দিল্লির প্রাচীনতম দুর্গাপুজোর স্থান ছিল কাশ্মীরি গেট যা নতুন দিল্লি কালীবাড়ি নামে পরিচিত। দুর্গাপুজোর মতোই ধুমধাম করে হয় মা কালীর আরাধনা হয় এই কালীবাড়িতে। অনেকটা কলকাতার (Kolkata) কালীঘাট মন্দিরের মতো নতুন দিল্লি কালীমন্দির।

দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজোর পর এবার কালীপুজোর (Kalipuja) আনন্দে মেতেছে বাঙালি। বাংলায় চারিদিকে শুধুই আলোর মেলা। তবে দীপান্বিতা আরাধনার আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী দিল্লিতেও( Delhi)। দিল্লির কালীমন্দিরে (Kali temple) শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। রাত পোহালেই তমসা কাটিয়ে আলোর উৎসব। রাজধানী দিল্লি (Delhi) জুড়ে প্রায় ৩০ টিরও বেশি ছোট বড় কালী মন্দির রয়েছে । তার মধ্যে কয়েকটি আবার শতবর্ষ প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ। কালী পুজো, কালী বাড়ি যেন দিল্লিবাসী বাঙালির প্রধান সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক অনুষ্ঠানের প্রধান স্থান।

রাজধানীর পুজো মানেই দিল্লির বিভিন্ন কালি বাড়ির কথাই সবার আগে উঠে আসে। দিল্লির প্রাচীনতম দুর্গাপুজোর স্থান ছিল কাশ্মীরি গেট যা নতুন দিল্লি কালীবাড়ি নামে পরিচিত। দুর্গাপুজোর মতোই ধুমধাম করে হয় মা কালীর আরাধনা হয় এই কালীবাড়িতে। অনেকটা কলকাতার (Kolkata) কালীঘাট মন্দিরের মতো নতুন দিল্লি কালীমন্দির। জনশ্রুতি আছে আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে রাজধানী দিল্লিতে বাঙালিদের বসবাস বাড়তে থাকে। ১৯৩০ সালে সেই বাঙালিদের হাত ধরেই দিল্লির প্রাচীনতম কালীপুজোর যাত্রা শুরু হয়। জানা যায় পুজো কমিটির প্রধান অধ্যক্ষ ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। শোনা যায় প্রাক স্বাধীনতার যুগেও দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নি যোদ্ধাদের গোপন ঘাঁটি ছিল এই নিউদিল্লি কালীবাড়ি (New Delhi Kali Bari)। এখানে কালীপুজো রীতি মেনেই অনুষ্ঠিত হয় । পুজোর মন্ডপ তৈরির কারিগরদের কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

দিল্লির আরেকটি প্রাচীন কালীমন্দির হল দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়ি। আমৃত্যুকাল পর্যন্ত যে মন্দিরের অধ্যক্ষ ছিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই মাতৃ মন্দিরে সম্পূর্ণ কালো পাথরের তৈরি মা কালীর মূর্তি। রাজধানী দিল্লির কালী মন্দিরের প্রসঙ্গে সবার আগে উঠে আসে চিত্তরঞ্জন পার্ক কালী মন্দিরের (CR Park Kali temple) কথা। ১৯৭৩ সালে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়। তারপর থেকে মিনি কলকাতা বলে বিখ্যাত চিত্তরঞ্জন পার্কের পুজো। দূষণের মাত্রা কমাতে রাজধানী দিল্লিতে এ বছর বাজির কোনও ব্যবহার করা যাবে না বলেই স্পষ্ট ঘোষণা করেছে, দিল্লির সরকার।

 

Previous articleবিরাট প্রশংসায় রোহিত, কাঁধে তুলে নিলেন কোহলিকে, ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
Next articleপাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ভারতের, বিরাট-রোহিতদের শুভেচ্ছা মুখ‍্যমন্ত্রীর