আমরণ অনশনে ত্রিপুরার চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা

শিক্ষক নিয়োগে(teacher recruitment) দুর্নীতিকে অস্ত্র করে রাজ্যে আন্দোলনকে জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে নেমেছে বিরোধী শিবির। ঠিক সেই সময় আমরণ অনশন শুরু করলো বাম সরকারের ভুলে চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়া ত্রিপুরার(Tripura) শিক্ষকরা। ২০১৭ সালে এই শিক্ষকদের পুনর্বহালের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বর্তমান বিজেপি সরকার(BJP Govt)। কথা রাখেনি তারাও। ফলে বাধ্য হয়েই আমরণ অনশন শুরু করলো চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। এই আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বহু আন্দোলনকারী, কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুধু তাই নয়, চাকরিচ্যুত এই শিক্ষকদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মূলত শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ধাঁচেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকারের আমলে। অনিয়মের অভিযোগে ত্রিপুরা হাই কোর্টে মামলাও হয়। মামলায় চাকরি যায় ১০ হাজার ৩২৩ শিক্ষকের। হাই কোর্টের চূড়ান্ত রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও। শিক্ষক আন্দোলনের নেতা প্রদীপ বণিক জানিয়েছেন, কোনও সরকারই কথা রাখেনি। বর্তমান বিজেপি সরকারও তাঁদের চাকরিতে বহাল করেনি। প্রদীপবাবু অবিলম্বে তাঁদের চাকরিতে বহালের দাবি জানিয়েছেন। ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকরা বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গেও। বর্তমানে আর্থিক অনটনের জেরে দিনমজুর খাটতে হচ্ছে এই সকল শিক্ষকদের। চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আর এই ঘটনাতেই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষকদের প্রতি যদি সত্যিই সহানুভূতিশীল হয় বাম ও বিজেপি তাহলে তাদের জমানাতে ত্রিপুরার শিক্ষকদের এমন করুণ অবস্থা কেন? রাজ্য তৃণমূল সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যেই নিয়োগ শুরু হয়েছে। সমস্ত নিয়ম মেনে নিয়োগ চলছে। সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য এবং বিরোধীরা রাজনৈতিকভাবে ভেসে থাকতে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনকে ব্যবহার করছেন। সম্পূর্ণ অন্যায্য দাবিতে চলা আন্দোলনকে সমর্থন যোগাচ্ছে বিরোধীরা। যদি তাদের দাবি ন্যায্য হয় তাহলে আদালতে মামলা করুক। বিরোধীরা সেটা করছে না। অথচ বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতে চাকরি হারিয়ে অনশনে হাজার হাজার শিক্ষক। যাদের মধ্যে ১৪২ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। নিজ রাজ্যে তাদের প্রতি ন্যূনতম সৌহার্দ্য নেই বিজেপির। বাংলার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে তারা কোনরকম খামতি রাখছে না।

Previous articleফের বাংলার মুকুটে আন্তর্জাতিক পুরস্কারের পালক, অনলাইন বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনে মিলল স্কচ পুরস্কার
Next articleইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া সন্ত্রা*সবাদীদের মূল অস্ত্র! সরব জয়শঙ্কর