বিক্ষোভের নামে অরাজকতা! লালগোলায় SFI-DYFI-এর থানা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের থানা অভিযান ঘিরে লালগোলায় ধুন্ধুমার। বিক্ষোভের নামে এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা SFI-DYFI-এর। ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি বাধে। এলাকায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে শনিবার বিক্ষোভ দেখায় SFI-DYFI। ব্যারিকেট ভেঙে থানায় ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি বাধে। নিমেষে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতাতেই বিক্ষোভকারীরা থানায় স্মারকলিপি জমা দেন।

অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেতে লালগোলা থানার পাইকপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সরপাখিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান (Abdur Rahaman) প্রায় সাতলক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কান্দি থানার বাগড় পলাশির বাসিন্দা দিবাকর কোনাইকে। ২৭ সেপ্টেম্বর চাকরি না পেয়ে প্রতারিত যুবক কীটনাশক খেয়ে আত্ম*ঘাতী হন বলে অভিযোগ। মৃতের পরিবার তখন পুলিশকে না জানিয়েই দেহ সমাধিস্থ করেন। তিনদিন পর দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়।

এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রেহেসানকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করে এবং মৃতের ৯ পাতার সুই*সাইড নোটের ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার দক্ষিণ চাতর এলাকার বাসিন্দা প্রজ্ঞান সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। বীরভূম থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত দিবাকরকে। পুলিশের তৎপরতায় একে একে ধরা পড়ে রেহেসান, প্রজ্ঞান এবং দিবাকরও।

কিন্তু মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করতে নেমে পড়ে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তসহ মোট ৩জন গ্রেফতার করেছে। তারপরেও এই বিক্ষোভ কেন? অভিযোগ, প্রতিবাদের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করতেই এই বিক্ষোত্র কর্মসূচি SFI-DYFI-এর।

আরও পড়ুন- ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া সন্ত্রা*সবাদীদের মূল অস্ত্র! সরব জয়শঙ্কর  

 

 

Previous articleইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া সন্ত্রা*সবাদীদের মূল অস্ত্র! সরব জয়শঙ্কর  
Next articleরাজ্যের ডেঙ্গি সর্তকর্তা, ৭ জেলায় নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যসচিবের