তৃণমূলের মেগা যোগদান কর্মসূচিকে ঘিরে নন্দীগ্রামে (Nandigram) উদ্দীপনা তুঙ্গে। ৪ নভেম্বর এই কর্মসূচিকে সর্বাত্মক সফল রূপ দেওয়াই লক্ষ্য তৃণমূলের (TMC) সর্বস্তরের নেতাদের। তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র (Soumen Mahapatra) বলেন, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরে এখন শেষের শুরু। ৪ নভেম্বর তারই স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাবে।

বুধবার বেশ কয়েক দফায় প্রস্তুতি বৈঠক করেন স্থানীয় নেতৃত্ব। জরুরি বৈঠক বসে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক সদর তৃণমূল কার্যালয়ে। ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ এবং স্থানীয় ২ নেতা শেখ আলরাজি, শামসুর ইসলাম। প্রস্তুতি পর্যালোচনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে মেগা যোগদান কর্মসূচির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করার প্রয়োজনীয়তার উপরেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এদিনের বৈঠকে। বিভিন্ন এলাকার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন, দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান।

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সদ্য বিজেপিত্যাগী দুই নেতা জয়দেব দাস এবং বটকৃষ্ণ দাস-সহ বিজেপির অন্তত ৮০০ বিদ্রোহী নেতা-কর্মী ৪ নভেম্বর যোগ দেবেন তৃণমূলে। এদিকে গেরুয়া শিবিরের বিদ্রোহের আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে গ্রামে। হরিপুর, ভেকুটিয়া, কালীচরণপুর,সোনাচূড়া- বিদ্রোহে বিপর্যস্ত বিজেপি। বিজেপিত্যাগী নেতা জয়দেব দাশের মন্তব্য, ওই দলে এখন স্তাবকদের ভিড়। যারা একসময় আমাদের উপরে অত্যাচার চালিয়েছিল তারাই এখন ছড়ি ঘোরাচ্ছে। এই দমবন্ধকরা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চেয়েছি আমরা। নন্দীগ্রামের ক্ষোভের আগুনে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বিজেপি।

আরও পড়ুন- ইউক্রেনের আচমকা আক্রমণে ১দিনেই ১ হাজারের বেশি রুশ সেনার মৃত্যু!
