শিলিগুড়িতে ডেঙ্গির বলি পুরসভার সাফাইকর্মী! বিক্ষোভ বিজেপির  

২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সম্প্রীতা দাস জানান বৃহস্পতিবারই ১৫ বোতল রক্ত দেওয়া হয়েছিল। আজ আরও ৪ বোতল রক্ত মজুত করা হয়েছিল। তবে তাঁর ওয়ার্ডে আর কেউ জ্বরে আক্রান্ত নেই। একজনের মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় আরও সচেতনতায় জোর দেওয়া হবে।

ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মৃ*ত্যু হল শিলিগুড়ি পুরসভার (Siliguri Municipality) এক সাফাইকর্মীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরসভা চত্বর। জানা গিয়েছে, সাফাই কর্মী দিলীপ রাউত সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (North Bengal Medical College and Hospital) ভর্তি হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার আচমকা মৃ*ত্যু হয় পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড টিকিয়াপাড়ার বাসিন্দা ওই কর্মীর।

২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councilor) সম্প্রীতা দাস জানান, বিগত ৩ দিন ধরে জ্বর নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন ওই সাফাইকর্মী। প্লেটলেট (Platelet) অনেকটাই নেমে গিয়েছিল তাঁর। বৃহস্পতিবারই ১৫ বোতল রক্ত দেওয়া হয়েছিল। আজ আরও ৪ বোতল রক্ত মজুত করা হয়েছিল। তবে তাঁর ওয়ার্ডে আর কেউ জ্বরে আক্রান্ত নেই। একজনের মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় আরও সচেতনতায় জোর দেওয়া হবে।

তবে উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের জন্য পুরসভার উদাসীনতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক (Siliguri MLA) শঙ্কর ঘোষ। এদিন শিলিগুড়ি পুরসভায় বিক্ষোভ দেখিয়ে শঙ্কর জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়ে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে জানাতে হবে কারণ মৃত্যু নগরীতে পরিণত হয়েছে এই শহর।

এদিন পুরসভা কর্মীর মৃত্যুর পর তাঁর বাড়ির সামনের আবর্জনার ছবি ফোনে রেকর্ড করেন বিধায়ক শঙ্কর। আর সেই ভিডিও দেখিয়েই এদিন পুরসভা ভবনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তবে বিজেপি বিধায়ককে পাল্টা কটাক্ষ করে শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার জানান, উনি কেন্দ্র কেন হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)-র দ্বারস্থ হতে পারেন। কলকাতায় দলীয় কিছু কর্মসূচি ছাড়া ওঁকে তো শহরে দেখাই যায় না। পাশাপাশি বিজেপি মৃ*ত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

Previous articleSSC Recruitment : স্কুলে স্কুলে নিয়োগ শুরু ! প্রতিশ্রুতি পূরণ করল রাজ্য সরকার
Next articleWBHSC : একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনে ৫০০ জন তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থী !