এবার ‘চায়ে পে চর্চা’য় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বুধবার কাঁথিতে শুভেন্দু সহ একাধিক নেতাকে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, যখন কেউ বুঝতে পারছে পায়ের তলা থেকে জমি সরছে, তখন কর্মীদের এই সব কথা বলে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে।আসলে নন্দীগ্রামে গড় ধরে রাখতে পারছে না। নন্দীগ্রামের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ৩৪ জন বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছিল। তার মধ্যে ৩৩জন জয়দেব দাসের নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর একজন বটকৃষ্ণ, যিনি আসবেন বলেও এখনও আসেননি। শুভেন্দু তাকে আগামীকাল নন্দীগ্রামে নিয়ে আসতে চাইছে।পরিস্থিতি এমনই যে কর্মীদের সঙ্গে দেখা হত না, কথা বলত না, সেই কর্মীদের পায়ে ধরে শুভেন্দুকে নিয়ে যেতে হচ্ছে।

কুণাল বলেন, যারা যারা শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে চান, ক্ষোভ জানাতে চান, শুভেন্দু যাদের সঙ্গে দেখা করছে না, অপমান করছে তারা শুধু একবার আমাকে ছুঁয়ে দিয়ে যান, দেখবেন শুভেন্দু পায়ে পড়ে জুতো পালিশ করে কোলে বসিয়ে রেখে দিয়েছে। কুণালের আরও কটাক্ষ, ”শুভেন্দু অধিকারী বড় নেতা বলে ওকে আক্রমণ করা হয় না। যেহেতু তৃণমূলের একশোটা পদের মধ্যে ৮০ শতাংশ পদ ও আর ওর পরিবারের লোকজন দখল করে রেখেছিল। তার পরেও দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ও বেইমানি করেছে।পিঠে ছুরি মেরেছে, তাই মনের ঘেন্না থেকে ওকে বেশি সমালোচনা করছে।”

বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গেও কুণাল বলেন, আমার মনে হয় দিলীপ ঘোষ প্রলাপ বকছেন।আসলে ওনার একটা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস চলছে। মতুয়া সম্প্রদায় চিরকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেন। বড়মাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের মতো শ্রদ্ধা করেন। তার অসুস্থতার চিকিৎসার সময় যাবতীয় আন্তরিকতার পরিচয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন। কিছু মানুষকে কিছু দিনের জন্য ভুল বুঝিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তারা মমতাদির সঙ্গেই আছেন, ফিরে আসছেন। উত্তরের জেলা গুলিতে ১৯-এর নির্বাচনে কিছু ভোট চলে গিয়েছিল। ২১-এর নির্বাচন প্রমাণ করছে মানুষের ভোট তৃণমূলের দিকে ফিরে আসছে।”
