পড়ুয়াদের সাধ্যের মধ্যেই রাখতে হবে টিউশন ফি, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

৫ বছর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ডাক্তারি শিক্ষার খরচ বছরে ২৪ লক্ষ টাকা করার সিধান্ত নেয়। একলাফে এই ফি ৭ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের হাইকোর্টে। সেই সময় হাইকোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই রায় দেয়।

শিক্ষা (Education) কখনোই ব্যবসা (Business) হতে পারে না। আর সেকারণে শিক্ষাকে উপার্জনের উপায় (Source of Income) হিসেবে ভাবা যাবে না। টিউশন ফি (Tuition Fees) রাখতে হবে সকলের সাধ্যের মধ্যেই। বুধবার এমনই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার (Government of Andhra Pradesh) ডাক্তারি শিক্ষার বার্ষিক ফি ২৪ লক্ষ টাকা ধার্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন যুগান্তকারী রায় দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।

৫ বছর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ডাক্তারি শিক্ষার খরচ বছরে ২৪ লক্ষ টাকা করার সিধান্ত নেয়। একলাফে এই ফি ৭ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরই এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের হাইকোর্টে (Andhra Pradesh High Court)। সেই সময় হাইকোর্ট অন্ধ্রপ্রদেশের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই রায় দেয়। পরে সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ (Challenge) করে মামলা গড়ায় দেশের শীর্ষ আদালতে। বিচারপতি এম আর শাহ ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চও অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখল। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭-২০২০ সালের টিউশন ফি বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছিল তা হাইকোর্ট বাতিল করে দেয়। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় এই রায়ে কোনও ভুল নেই। ডাক্তারি পরীক্ষার ফি ২৮ লক্ষ টাকা বাড়ানোর কোনও যুক্তিই নেই। শিক্ষা কোনও ব্যবসা নয় যে মুনাফা বাড়াতে সেটাকে কাজে লাগানো হবে। টিউশন ফি রাখতে হবে পড়ুয়াদের সাধ্যের মধ্যেই।

সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদের মতে, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি। বিগত বছরগুলিতে এই ফি বৃদ্ধির ধাক্কায় পড়ুয়াদের চড়া সুদে ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থা থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। আর যার ফলে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। আর এমন পরিস্থিতিতে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কলেজগুলি যে মামলা করেছিল তাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর।

Previous articleTripura: বিজেপি জোটে ভাঙন অব্যাহত, ইস্তফা আরও ১ বিধায়কের
Next articleবিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ডাক্তারি পরীক্ষায় দুর্নীতি, পড়ুয়া না হয়েও চিকিৎসকের ডিগ্রি ২৭৮ জনের