শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন হাওড়ায় গ্রেফতার হওয়া ৩ কংগ্রেস বিধায়ক, ফিরতে পারবেন ঝাড়খণ্ডেও

হাওড়ার পাঁচলায় বিপুল টাকা সমেত গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক।তাঁদের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। আদালত সূত্রে খবর, তিন বিধায়কের জামিন হয়েছে। তবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১৫ দিন অন্তর তাঁদের তদন্তকারী অফিসারের সামনে হাজিরা দিতে হবে। তবে, আপাতত তাঁরা অসমে যেতে পারবেন না তাঁরা।যদিও ঝাড়খণ্ডে ফিরতে পারবেন তাঁরা বলে জানিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কের  জামিন হল না, পরের শুনানি হবে জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে

গত ৩০ জুলাই ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক-সহ মোট পাঁচজনকে হাওড়ার পাঁচলা এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর একটি গাড়ির মধ্যে থেকে গ্রেফতার করা হয়। হাওয়া গ্রামীণ, হাওড়া শহর ও সিআইডির যৌথ অভিযানে এই গ্রেফতারি হয়। এমএলএ’র স্টিকার লাগানো সেই গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা নগদ। ওই তিন বিধায়ক ছিলেন জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিজরির বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল কোঙ্গারি। এছাড়াও বাকি দু’জন ছিলেন গাড়ির চালক চন্দন কুমার ও ঝাড়খণ্ডের যুব কংগ্রেস নেতা কুমার প্রতীক।জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিধায়কদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা কোথা থেকে এল, তার সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি কেউই। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই তিন বিধায়ক শুক্রবার গুয়াহাটি গিয়েছিলেন৷ পরেরদিনই কলকাতায় ফিরে আসেন৷ একরাতের জন্য কেন তারা অসম গিয়েছিলেন সেই প্রশ্নের কোনও জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন৷ কংগ্রেস প্রথম থেকেই দাবি তুলেছে, ঝাড়খণ্ডে জেজেএম-কংগ্রেসের জোট সরকার ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি৷ তারপর বিধায়কদের গুয়াহাটিতে যাওয়ার খবরে সেই দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে৷ যদিও পুলিশের কাছে ওই তিন বিধায়ক প্রথমে জানিয়েছিলেন, তাঁদের গন্তব্য ছিল মন্দারমণি৷ ফেরার সময় কলকাতার বড়বাজার থেকে শাড়ি কেনার কথা ছিল৷ আগামী ৯ অগস্ট আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ঝাড়খণ্ডে নিজের নিজের এলাকায় ওই শাড়ি করার কথা ছিল৷ শাড়ি কিনতেই তাঁদের আসা৷। তবে সেসবই পরে ‘মিথ্যা’ বলে প্রমাণ করে তদন্তকারী সংস্থা।

এরপর ১৫ দিনেরও বেশি সময় সিআইডি হেফাজতে থাকার পর গত ১৭ অগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান ওই তিন কংগ্রেস বিধায়ক। তখন শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে, জামিন পেলেও এখনই ঝাড়খণ্ডে ফিরতে পারবেন না বিধায়করা। এমনকি কলকাতার বাইরেও বেরোনোতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার শর্তসাপেক্ষে তাঁদের ঝাড়খণ্ড ফেরার জন্য জামিন দেওয়া হল।

Previous articleমাতৃত্বকালীন ছুটিতেই জানতে পারলেন ‘চাকরি আর নেই’, সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগঘন পোস্ট মেটা কর্মীর
Next articleবেআইনি গ্রেফতার : ইডিকে ভর্ৎসনা কোর্টের