সারি-সারনা ধর্মের স্বীকৃতি নিয়ে রাজ্যের তৎপরতার প্রচার: ঝাড়গ্রাম সফরের আগে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বীরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। তার আগে সারি ধর্মের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয় নিয়ে দলের বিধায়কদের চিঠি দিলেন তিনি। এর আগে আদিবাসীদের এই ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের তৃণমূল (TMC) সরকার। প্রশাসনিক স্তরেও শুরু হয়েছে তৎপরতা। এবার এই বিষয়ে নিয়ে বিধায়কদের ১৮ লাইনের এই চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে রাজ্যের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। এই বিষয়ে প্রচার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ ‘সারনা’ ধর্ম ও অনেকে ‘সারি’ ধর্মকে বিশ্বাস করেন ও মেনে চলেন। এই দুই ধর্মের স্বীকৃতি রাজ্যের আদিবাসী মা-ভাই-বোনেদের দীর্ঘ দিনের দাবি। তবে, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেয়নি কেন্দ্র। রাজ্য সরকার সবসময়ই আদিবাসীদের ভাবাবেগকে সম্মান দেয়। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। এই দুই ধর্মের স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।

৬ জুলাই ২০২২ রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই দুই ধর্মের স্বীকৃতির বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাস করিয়েছে রাজ্য। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উপজাতীয় সম্প্রদায়ের একটি অংশের জন্যে ‘সারনা’ ধর্মের স্বীকৃতির বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। রাজ্য বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে এই বিষয়ের উপরে বিলও আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের আশা এই প্রস্তাব নিশ্চিতভাবে পাশ হবে।

রাজ্যের এই প্রচেষ্টার কথা প্রত্যেক বিধায়ককে তাঁর এলাকার আদিবাসী সমাজের কাছে তুলে ধরতে বলা হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আদিবাসী এলাকায় প্রচার চালাবে তৃণমূল। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার কী কী কাজ করেছে সেই কতিয়ানও প্রচারের দায়িত্বও মন্ত্রী-বিধায়কদের দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

মঙ্গলবারে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে ঝাড়গ্রাম যাবেন মমতা। সেখান থেকেই অতিথিশালায় যাবেন। বেলপাহাড়ির সাহাড়ি লাগোয়া কুচলাপাহাড়ির ফুটবল মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হবে। ইতিমধ্যেই সেখানে তৈরি হচ্ছে বিশাল প্যান্ডেল।পাশেই হয়েছে হেলিপ্যাড।

আরও পড়ুন:ডেমোক্র্যাট পার্টির হাতেই থাকল মার্কিন সেনেটের নিয়ন্ত্রণ, চওড়া হাসি বাইডেনের

 

 

 

Previous articleবিজয় হাজারে ট্রফির দ্বিতীয় ম‍্যাচে ঘুরে দাঁড়াল বাংলা, মিজোরামকে হারাল ৯ উইকেটে
Next articleবাবরদের জন‍্য বিশেষ বার্তা ইমরান খানের