গ্যালন গ্যালন জল দিয়ে দেহ পরিষ্কার ! শ্রদ্ধা খু*নে চাঞ্চল্যকর তথ্য

কোনও ভানেই যাতে শ্রদ্ধার দেহ উদ্ধার করা না যায় বা সনাক্ত করা না যায় তার জন্যই এহেন পরিকল্পনা বলেই অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি। এখানেই শেষ নয়, তদন্তকারীদের দাবি, শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করার পর গোটা ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল র*ক্ত।

ভালোবেসে প্রেমিকের জন্য ঘর ছেড়েছিল শ্রদ্ধা (Shraddha Walkar)। দিল্লিতে তাঁর লিভ পার্টনার আফতাব (Aftab Ameen Poonawala)যে কতটা নৃ*শংস সেই ব্যাপারে ধারণা ছিল না মেয়েটার। তদন্ত নেমে আফতাবের (Aftab Ameen Poonawala) পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে হতবাক তদন্তকারীরা। শুধু ঠান্ডা মাথায় খু*ন করাই নয়,খু*নের পর প্রমাণ লোপাটের যেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করেছিল অভিযুক্ত আফতাব, তা হার মানাবে যে কোনও গল্পকে। এবার প্রকাশ্যে এল আরও হাড়হিম করা তথ্য। শ্রদ্ধার পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য দেহ ৩৫ টুকরো করার পর কাটা মু*ন্ডুর মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত আফতাব। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় আফতাব এমনটাই জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। কোনও ভানেই যাতে শ্রদ্ধার দেহ উদ্ধার করা না যায় বা সনাক্ত করা না যায় তার জন্যই এহেন পরিকল্পনা বলেই অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি। এখানেই শেষ নয়, তদন্তকারীদের দাবি, শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করার পর গোটা ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল র*ক্ত। সেই র*ক্তের দাগ মুছতে আফতাব প্রথমে গুগলের সাহায্য নিলেও শেষ পর্যন্ত জল দিয়েই কাজ সেরেছেন তিনি। আফতাব বারবার ছাদের ট্যাঙ্কে জলের স্তর দেখতেন বলেও ওই বাড়ির আবাসিকদের অভিযোগ। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

যেখানে মাসে ২০ হাজার লিটার জল অর্থাৎ গড়ে ৩৫ বালতি জল ফ্রি থাকে, অধিকাংশ বাড়িতে জলের ‘জিরো’ বিল আসে, সেখানে ৩০০ টাকা জলের বিল? কী এমন প্রয়োজন যার জন্য এত টাকার জল ব্যবহার করতে হয়? সন্দেহ বাড়ে বাড়ির মালিক, আবাসিক সহ প্রত্যেকের। দিল্লির (Delhi) মেহরৌলিতে যে বাড়িতে আফতাব থাকতেন, সেই বাড়িতে গত মে মাসে জলের বিল এসেছিল ৩০০ টাকা। আর এখান থেকেই সন্দেহ আরও গভীর হয় তদন্তকারী অফিসারদের । তাহলে কি প্রমাণ লোপাট করতে, র*ক্তের দাগ মুছতে এত বেশি জল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল অভিযুক্ত আফতাবের? মহারাষ্ট্রের ভারসাই থেকে আসার পর আফতাব ও শ্রদ্ধা দিল্লির মেহরৌলিতে তিনতলা ওই বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন। ফ্ল্যাটটির চুক্তিপত্রে আফতাব ও শ্রদ্ধা, দুজনের নামই ছিল। শ্রদ্ধার নিখোঁজ হওয়া এবং অত্যধিক টাকার জলের বিল নিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে আফতাবের বচসাও হয়েছিল বলে জানা যায়। পুলিশের অনুমান, শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করার আওয়াজ ঢাকতে সম্ভবত জোরে জলের কল চালিয়ে রাখত আফতাব। পাশাপাশি শরীর থেকে র*ক্ত ধুয়ে ফেলতে সে প্রচুর গরম জল ব্যবহার করে বলে দাবি তদন্তকারীদের। খু*ন এবং দেহ ৩৫ টুকরো করার পর ফ্ল্যাট এবং ফ্রিজ থেকে র*ক্তের দাগ মুছতে জল ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, অপরাধের চিহ্ন ধুয়ে ফেলতেই ৩০০ টাকা জলের বিল দিয়েছিল আফতাব।

 

Previous articleজ্ঞানবাপী মামলায় স্বস্তিতে হিন্দুপক্ষ, খারিজ মুসলিমপক্ষের আবেদন
Next articleকলেজিয়াম পদ্ধতি পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট