বারবার বঙ্গভঙ্গের উস্কানি গেরুয়া শিবিরের, ফের পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি বিজেপি বিধায়কের

বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় কোণঠাসা বিজেপি। তারপর থেকে তাদের জমি আরও হারাচ্ছে বঙ্গে। এখন বাংলাকে ভাগ করে টুকরো টুকরো করে ক্ষমতা দকলের ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গ, পশ্চিমাঞ্চলের পরে এবার রাঢ়বঙ্গের ধুঁয়ো তুলছে বঙ্গ পদ্ম শিবির।

বারবার বঙ্গভঙ্গ উস্কানি গেরুয়া শিবিরের। পৃথক উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহলের পরে এবার পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি বিজেপি (BJP) বিধায়কের। ওন্দার মুড়াকাটা গ্রামে সভা করতে গিয়ে এই দাবি তুললেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা (Amarnath Shakha)। কয়েকদিন আগে বাঁকুড়ার (Bankura) পাঁচ বিধায়ক কলকাতায় এসে আলাদা রাঢ়বঙ্গের দাবি তোলেন।

বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় কোণঠাসা বিজেপি। তারপর থেকে তাদের জমি আরও হারাচ্ছে বঙ্গে। এখন বাংলাকে ভাগ করে টুকরো টুকরো করে ক্ষমতা দকলের ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গ, পশ্চিমাঞ্চলের পরে এবার রাঢ়বঙ্গের ধুঁয়ো তুলছে বঙ্গ পদ্ম শিবির।

পশ্চিমের জেলা- বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম নিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি প্রথম তোলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)। এরপর বাঁকুড়ার পাঁচ বিধায়ক কলকাতায় এসে ফের রাঢ়বঙ্গের দাবি তোলেন। এবার রাঢ়বঙ্গের দাবি বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার। তাঁর অভিযোগ, “রাঢ় বাংলা বঞ্চনার শিকার। এখানকার মানুষ সব দিক থেকে বঞ্চিত।“

বিজেপি বিধায়কের এই দাবিকে “পাগলের প্রলাপ” বলে কটাক্ষ করেছে শাসকদল। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা বলেন, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বিজেপি কোনও প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তাই নিজেই মাঠে নেমে পড়েছেন বিধায়ক। মানুষকে ভুলভাল বোঝানোর চেষ্টা করছেন।

তবে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar), তাঁর দল বঙ্গভঙ্গের বিরোধী। কেন্দ্র থেকে তাঁদের কাছে এমনও কোনও নির্দেশ আসেনি বলেও জানান সুকান্ত। বঙ্গভঙ্গ কোনও স্থায়ী সমাধান নয় বলে মত বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের। এখন প্রশ্ন, তাহলে কী উপরের মহলের বার্তা নীচের স্তর পর্যন্ত পৌঁছয়নি। না কি নিজেদের রাজনৈতিক দৈন্য ঢাকতেই মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে! প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।

 

Previous articleসোনারপুর শুটআউট! পুলিশের জালে মূলচক্রী দীপ, বাকি ৫ অভিযুক্তের খোঁজে জারি তল্লাশি
Next articleশিশু অধিকার রক্ষার লড়াইকে কুর্নিশ রাজ্য সরকারের