প্রতিদ্বন্দ্বিতা করল না তৃণমূল! নির্দল কাউন্সিলরদের সমর্থনে ঝালদা পুরসভা দখল কংগ্রেসের

ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেই ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি ছিল তৃণমূলের দখলে। পাঁচটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। দু'টি ওয়ার্ড নির্দল কাউন্সিলরদের হাতে ছিল। সোমবারের আস্থা ভোটে পাঁচ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং দু জন নির্দল কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কাউন্সিলরও আস্থা ভোটে অংশ নেননি। ফলে ভোটাভুটিতে সাতটি ভোট পেয়ে আস্থা ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস।

কংগ্রেসের (Congress) দখলে গেল ঝালদা পুরসভা (Jhalda Municipality)। পুরুলিয়ার এই একটি মাত্র পুরসভাই রইল কংগ্রেসের দখলে। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে আস্থা ভোটে (Trust Vote) জয়ী হল হাত শিবির। তবে তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলরই এদিনের আস্থা ভোটে হাজির ছিলেন না। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশমতো সোমবার আস্থা ভোট হয়। এদিন পুরসভা দখলের পর ঝালদা শহরে বিজয় মিছিল করে কংগ্রেস। প্রয়াত প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর নামেও স্লোগান দেওয়া হয়।

ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি ওয়ার্ড রয়েছে। সেই ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি ছিল তৃণমূলের (TMC) দখলে। পাঁচটি ছিল কংগ্রেসের দখলে। দু’টি ওয়ার্ড নির্দল কাউন্সিলরদের হাতে ছিল। সোমবারের আস্থা ভোটে পাঁচ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং দু জন নির্দল কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কাউন্সিলরও আস্থা ভোটে অংশ (Contest) নেননি। ফলে ভোটাভুটিতে সাতটি ভোট পেয়ে আস্থা ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস। ফলাফল ৭-০। এদিন দুই নির্দল কাউন্সিলরই কংগ্রেসকে সমর্থন করেন।

এদিকে গত পুরভোটের খু*ন হন পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ফলে তৃণমূলের ছয় কাউন্সিলর ও তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া নির্দলের সোমনাথ কর্মকার শাসকদলকে সমর্থন করলে তৃণমূল ঝালদা পুরসভায় পুরবোর্ড গঠন করে। তবে পরে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খু*নের পর ওই ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তাঁর ভাইপো কংগ্রেসের মিঠুন কান্দু জয়লাভ করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর ঝালদায় তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আসে। ওই অনাস্থার পর তলবি সভা ডাকা নিয়ে নানা টানাপোড়েন চলে। কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করেছিলেন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল ও উপ-পুরপ্রধান সুদীপ কর্মকার। ১২ আসনের পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। ঠিক তার পরেই তৃণমূল ছাড়েন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। যিনি নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর দলত্যাগেই বদলে যায় সমীকরণ। ১২ আসনের পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে হয় ৭।

Previous articleঅত্যন্ত মর্মান্তিক: মোরবি সেতু বিপর্যয়ে সুপ্রিম-মন্তব্য, গুজরাট হাইকোর্টকে তদন্তের নির্দেশ
Next articleএকদিকে বিশ্বকাপ, অন্যদিকে কলঙ্কিত ভারতীয় ফুটবল! ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডের তদন্তে CBI