রক্তা*ক্ত অসম-মেঘালয় সীমান্ত! বাড়ছে মৃ*তের সংখ্যা, একাধিক জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার ভোররাতে। এদিন সীমান্তে থাকা মুখরো গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। তারপরই মেঘলায়ের মুখ্যমন্ত্রী কারনাড সাংমা একটি জরুরী বৈঠক ডাকেন। সেখানকার গ্রাম প্রধান এবং ধর্মীয় নেতাদের এই বৈঠকে ডাকা হয়। বৈঠকে শিলং লিটারারি ফেস্টিভ্যাল বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ফের উত্তেজনা অসম এবং মেঘালয় (Assam Meghalaya) সীমান্তে। মঙ্গলবার গু*লির লড়াইয়ে এক বনরক্ষা কর্মী (Forest Department Worker) সহ কমপক্ষে ৬ জনের মৃ*ত্যু হয়েছে বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই রাজ্যের সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ঘটনার পরে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মেঘলায়ের চেরি ব্লজম ফেস্টিভ্যাল (Cherry Blossom Festival)। পাশাপাশি এই উৎসবে যে সাহিত্য অনুষ্ঠান (Literary event) হওয়ার কথা ছিল তাও বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৭ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবাও (Internet Service)।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার ভোররাতে। এদিন সীমান্তে থাকা মুখরো গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। তারপরই মেঘলায়ের মুখ্যমন্ত্রী কারনাড সাংমা (CM Conrad Sangma) একটি জরুরী বৈঠক ডাকেন। সেখানকার গ্রাম প্রধান এবং ধর্মীয় নেতাদের এই বৈঠকে ডাকা হয়। বৈঠকে শিলং লিটারারি ফেস্টিভ্যাল (Shillong Literary Festival) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেঘালয় (Meghalaya) রাজ্যের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড়ের মুখরো (Mukroh) গ্রামে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তার জেরে এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড় এলাকার মতই পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়, পূর্ব খাসি পাহাড় (Khasi Hills), রিভই সহ অন্য এলাকার শান্তি বিঘ্নিত হতে এবং সাধারণ মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ঘটনার পরই সীমান্তে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ যাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা না ছড়াতে পারে সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

মেঘালয় পুলিশের অভিযোগ, মঙ্গলবার কাঠ কুড়িয়ে একটি গাড়িতে গ্রামবাসীরা ফিরছিলেন। সন্দেহের কারণে তাদের আটকায় অসমের বনরক্ষীরা। গ্রামবাসীদের চোরাকারবারী সন্দেহ করে গাড়ি লক্ষ্য করে গু*লি চালানো হয়। এদিকে অসমের বনরক্ষীরা গু*লি চালাতেই গাড়ি থেকে নেমে গ্রামবাসীরা চিৎকার শুরু করেন। ছুটে আসেন আসে পাশের গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের পাল্টা গু*লিতে আক্রান্ত হয় অসমের বনরক্ষীরাও। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গু*লির লড়াই বর্তমানে বন্ধ হলেও এলাকার তীব্র উত্তেজনা এখনও রয়েছে।

Previous articleমোদিকে খু*নের ছক কষেছে দাউদ ! কলকাতা থেকে চাঞ্চল্যকর মেসেজ মুম্বই পুলিশের কাছে
Next articleস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবি, SFI বনাম TMCP বিক্ষোভে উত্তপ্ত কলেজ স্ট্রিট