Thursday, December 4, 2025

‘ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার সহানুভূতিশীল’, জানালেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

Date:

Share post:

ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মামলা। স্যাট, হাইকোর্ট পেরিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলা। এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সরকারি কর্মীদের সঙ্গে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সরকারের আদালতে মামলা চলছে। কিন্তু  তা বলে সরকারের এ বিষয়ে সংবেদনশীলতার অভাব রয়েছে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত দাবির বিষয়ে রাজ্য সরকার সহানুভূতিশীল।

বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সাম্প্রতিক আন্দোলন কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কর্মীদের কিছুই দিচ্ছে না বলে একটা প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু তা সঠিক নয় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার সময় ১২৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা যুক্ত করে নতুন বেতনক্রম ধার্য করা হয়েছে। ২০২১ সালে তাদের আরো তিন শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে আর্থিক অবরোধের সামনে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অর্থমন্ত্রী। ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের হক আছে। কিন্তু একটু তো কনসিডার করুন।’

সাংবাদিক বৈঠকে সেচমন্ত্রী মানস ভূইঁয়া বলেন সরকার কর্মীদের প্রাপ্য মিটিয়ে দিতে সব রকমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিকভাবে রাজ্যকে অকেজ করে দিচ্ছে। ডিএ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হন মানস ভুঁইয়াও। তিনি বলেন, “ডিএ নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে এমনটা নয়। একটা গেল গেল বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল অবধি ২৭ হাজার কোটি খরচ করেছি। আমরা দেওয়ার মন দিয়ে দিচ্ছি। সংবেদনশীল মন দিয়ে দিচ্ছি। একবারও কেউ বলছেন না কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনৈতিক অবরোধ করছে।”

সেচমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য। অথচ, রাজ্যের সেই হকের পাওনাই কেন্দ্র তাঁদের দিচ্ছে না। নানা অনুষ্ঠানে, এমনকি, বিধানসভার বিবৃতিতেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন সেই একই সুর শোনা গেল মানস ভুঁইয়ার বক্তব্যেও। মানস বলেন, “যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে ১০০ দিনের কাজে শ্রেষ্ঠ রাজ্য বলে পুরস্কৃত করে, সেই কেন্দ্রই ১০০ দিনের কাজের ৬৭০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। রাজ্যের গলা টেপা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন- শুধুমাত্র পদ্ধতিগত ত্রুটিতে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র: প্রদীপ

 

 

 

spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...