অভিষেককে নিয়ে শুভেন্দুর প্যানিক কাজ করছে, কটাক্ষ কুণালের

তিনি বলেন, আসলে অভিষেককে ভয় পাচ্ছেন শুভেন্দু। কেন তিনি একটা সভাকে ঘিরে আদালতে ছুটলেন ?

আগামী শনিবার কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নাকি বিরোধী দলনেতার বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এবং তা ইচ্ছাকৃত। এই অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও হাইকোর্ট তার সেই আবেদন খারিজ করে সভা করার অনুমতি দিয়েছেন। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পুরো বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ বললেন।তিনি বলেন, আসলে অভিষেককে ভয় পাচ্ছেন শুভেন্দু। কেন তিনি একটা সভাকে ঘিরে আদালতে ছুটলেন ?

অভিষেক কাঁথিতে সভা করবেন। শুভেন্দুকে নিয়ে কারও কোনও ভাবনা নেই।কোথাও লেখা আছে নাকি যে ওনার বাড়ির সামনে সভা করা যাবে না, হাঁটা যাবে না। উনি বরং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। আকাশপথেও যাতে ওনার বাড়ি চৌহদ্দিতে কেউ প্রবেশ করতে না পারেন তার ব্যবস্থা করুন।কুণালের সাফ কথা, উনিতো ডিসেম্বর ডিসেম্বর করছিলেন। ডিসেম্বরই তো অভিষেক সভা করবেন। অভিষেককে নিয়ে ওনার প্যানিক কাজ করছে।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় আলিপুর কোর্টে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, আদালত এড়াতে চাইছেন শুভেন্দু।কাঁথি শুভেন্দুর গড় বলে যা প্রচার হচ্ছে,  কুণালের কটাক্ষ কিসের গড়? কার গড় ? অভিষেক সর্বত্র সভা করছেন। কাঁথিতেও করবেন। ওই দিনের সভায় লক্ষাধিক লোক হবে। কাঁথির মানুষেই মাঠ উপচে যাবে।কুণাল এদিন মনে করিয়ে দেন, বর্তমান রাজ্যপাল আজ তার ভাষণে বলেছেন যে দেশকে পথ দেখাবে বাংলা। আসলে রাজ্যপাল বাংলার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন।

সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মামলায় শুনানিতে বিচারপতি রাজীব কুমারের মামলার প্রসঙ্গ টানায় মোটেই অবাক নন কুণাল। তিনি বলেন, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ নিয়ে কোনও কথা বলার এক্তিয়ার আমাদের নেই। সিবিআইকে নিয়ে যেভাবে টানাপোড়েন চলছে তাতে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বীরভূমে অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে কুণালের মন্তব্য, পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করছে ভালো কথা। আসলে কেউ গভীর চক্রান্ত করছে, আবার কেউ অস্ত্র বোমা মজুত করছে। নির্দিষ্টভাবে একটা চক্রান্ত চলছে। সিবিআই-এনআই এর অপব্যবহার করা হচ্ছে।

গতকাল তৃণমূলের নতুন যুব কমিটি ঘোষিত হয়েছিল। সেখানে দেবাংশু ভট্টাচার্য না থাকলেও আজকে তাকে আইটি সেল এর প্রধান করা নিয়ে কুণাল স্পষ্ট বলেন, দেবাংশুকে নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি ছিল না আজও নেই। আইটি সেলের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে। এটা আগে থেকেই ঠিক ছিল। এনএরএসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না থাকা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সুন্দরবন যাওয়ার কথা অনেক আগে থেকেই ঠিক ছিল। তিনি যে আসতে পারবেন না সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী, শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই কারণেই তার নাম আমন্ত্রণপত্রে রাখা হয়নি। এটা নিয়ে অযথা রাজনীতি করা ঠিক নয়।

ত্রিপুরায় বামেদের ওপর বিজেপির আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে। কেন্দ্র যেভাবে আমাদের রাজ্যের টাকা আটকে রেখেছে তা নিয়ে ফের সরব হন কুণাল। বলেন, আমাদের এখান থেকে ট্যাক্স নিয়ে যাচ্ছে অথচ আমাদের টাকা আটকে রেখেছে। আগে আমাদের প্রাপ্য টাকা দিক কেন্দ্র।

Previous articleগুজরাট: খাড়্গের ‘রাবণ’ মন্তব্যে কংগ্রেসকে পাল্টা তোপ মোদির
Next articleদু-দুবার ইন্টারভিউ দিলেও প্রকাশ হয়নি মেধাতালিকা, ফের ধর্নায় আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা