শুভেন্দুর প্ররোচনায় তৃণমূল উপ-প্রধানের উপর হামলা, তমলুক হাসপাতালে দেখতে গেলেন কুণাল

জখম তৃণমূল উপ-প্রধান মিহির ভৌমিক জানান, গত মঙ্গলবার ঘটনার দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ সভায় যান। তখন থেকেই তাঁর উপর নজরদারি শুরু করেন বিজেপির গুন্ডারা।

সোমনাথ বিশ্বাস, তমলুক 

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে শুভেন্দু অধিকারী একটি সভা করেছিলেন। সেই সভা থেকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিহির ভৌমিকের নাম নিয়ে উস্কানি ও প্ররোচনা ছড়িয়েছে। মিহিরবাবু ভগবানপুর বিধানসভার অন্তর্গত বরোজ-২ অঞ্চলের উপপ্রধান। ঠিক তারপরেই তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুভেন্দুর সভা থেকেই তাঁর উপর হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতাদের। এই ঘটনায় সরাসরি শুভেন্দুর মদত রয়েছে বলে অভিযোগ।

এদিন তমলুক হাসপাতালে আক্রান্ত মিহির ভৌমিককে দেখতে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি মিহিরবাবুর জন্য সঙ্গে করে ফল নিয়ে যান। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। একইসঙ্গে প্রশাসনের কাছে দোষীদের গ্রেফতারের আবেদন জানান কুণাল ঘোষ।

জখম তৃণমূল উপ-প্রধান মিহির ভৌমিক জানান, গত মঙ্গলবার ঘটনার দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সংসদ সভায় যান। তখন থেকেই তাঁর উপর নজরদারি শুরু করেন বিজেপির গুন্ডারা। এরপর চায়ের দোকানে যাওয়ার সময় বিজেপি আশ্রিত ২৫-৩০ জন হামলা চালায়। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে। নিচে ফেলে দেয়। মিহিরবাবুর দাবি, “বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। তৃণমূল কর্মীরা গিয়ে পিস্তলের গুলিও উদ্ধার করেছে। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে। আমি দোষীদের গ্রেফতার চাইছি।” জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতেই ভূপতিনগর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান মিহির ভৌমিক।

কুণাল ঘোষ জানান, “একজন দোষীকেও ছাড়া হবে না। এই ঘটনা শুভেন্দুর মদতেই হয়েছে। কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন, আর তাতেই ভয় পেয়ে শুভেন্দু গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। প্ররোচনা দিচ্ছে। কর্মী-সমর্থকদের বলবো, বিজেপির কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না।”

Previous articleকোটিপতি ভিক্ষুকের সন্ধান মিলল লন্ডনের রাস্তায়
Next articleবিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ অব্যাহত, উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থানে পড়ুয়াদের একাংশ