তহবিলের টাকা খরচ করেননি বিধায়করা, কেন্দ্রের রিপোর্টে অস্বস্তিতে মোদির রাজ্যে

নির্বাচন চলছে গুজরাটে(Gujrat), একইসঙ্গে চলছে গালভরা ভাষণ। অথচ গুজরাটে দীর্ঘবছরের বিজেপি(BJP) শাসনে কেন্দ্রীয় সরকারের(central Govt) তরফে সাম্প্রতিক যে ছবি প্রকাশ্যে এল তাতে অস্বস্তিতে পড়তে হল গেরুয়া শিবিরকে। মোদি সরকারের রিপোর্ট বলছে মোদি রাজ্যের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি বিধায়ক তহবিলের(MLA Fund) টাকাই খরচ করতে পারেননি। পাঁচ বছরে বরাদ্দ হওয়া ১,০৭৬ কোটি টাকার মধ্যে ফিরে গিয়েছে ২৭২ কোটি টাকা! ফলে মানুসের টাকায় মানুষের কাজে বিজেপি বিধায়কদের যে খুব একটা আগ্রহ নেই এই রিপোর্টও সে কথা স্পষ্ট করে দিচ্ছে।

রিপোর্ট বলছে, গুজরাটে যে সকল বিধায়ক তাঁদের তহবিলের টাকা খরচ করতে পারেননি সেই তালিকায় রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। ঘাটলোদিয়া কেন্দ্রের এই বিধায়ক তাঁর বিধায়ক তহবিল হিসাবে প্রাপ্ত অর্থের ২৭ শতাংশই খরচ করতে পারেননি। আরও খারাপ পরিস্থিতি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর কেন্দ্রে। রাজকোট (পশ্চিম) কেন্দ্রে বিধায়ক তহবিলের ৪২ শতাংশ টাকাই খরচ করা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, ২০২১ সালে রূপাণীকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে বিধায়ক তহবিলের কোনও টাকাই খরচ করা হয়নি।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিধায়ক তহবিলের টাকায় মোদির রাজ্য গুজরাটে ৯,৮১৫টি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে ৬,৬৮৮টি কাজ। আর মাঝপথেই কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫,২১২টি প্রকল্পের। শাসকদল বিজেপির এহেন বেহাল অবস্থা হলেও টাকা খরচে বিষয়ে বিজেপির চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে গুজরাটের বিরোধী দল কংগ্রেসের বিধায়করা। উল্লেখ্য, নিজের বিধানসভা এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রতিবছর দেড় কোটি টাকা করে পান বিধায়করা। এই টাকায় কোথায় কী কাজ হবে সেটা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলচনা করে কাজ করেন বিধায়ক। তবে ৫ বছরে সেই টাকা খরচ না হলে টাকা ফিরে যায় কেন্দ্রের কাছে।

Previous articleকেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মথুরাপুর, কুলপি, হটুগঞ্জে অবরোধ
Next articleBangladesh : দেশের প্রেক্ষাগৃহে চলবে হিন্দি ছবি, আশাবাদী তথ্যমন্ত্রী