ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ মামলায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের! আপাতত দায়িত্বে জেলাশাসক

গত ২১ নভেম্বর ঝালদায় পুরসভায় আস্থাভোটে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে। অপসারিত হন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল। তারপর থেকেই পুরবোর্ডের প্রধান নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। এরই মধ্যে রবিবার দু’দলের মনোনীত প্রধান জবা এবং শীলা একসঙ্গে ঝালদা পুরসভায় এসে পৌঁছলে গল্প নতুন মোড় নেয়।

পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) প্রশাসক (Administrator) নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গত শুক্রবার রাজ্যের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, ঝালদার তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor) জবা মেছোয়ারকে এক মাসের জন্য পুরপ্রশাসক করা হচ্ছে। তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। সোমবার সেই মামলায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের। পাশাপাশি আদালত সাফ জানিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রশাসকের দায়িত্বে থাকবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক। একইভাবে ঝালদা পুরসভায় আস্থাভোটে জয়ী হওয়ার পর যে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুরপ্রধান হিসাবে মনোনীত করেছিল কংগ্রেস, তিনিও দায়িত্ব নিতে পারবেন না।

গত ২১ নভেম্বর ঝালদায় পুরসভায় আস্থাভোটে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে। অপসারিত হন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল (Suresh Agarwal)। তারপর থেকেই পুরবোর্ডের প্রধান নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। এরই মধ্যে রবিবার দু’দলের মনোনীত প্রধান জবা এবং শীলা একসঙ্গে ঝালদা পুরসভায় এসে পৌঁছলে গল্প নতুন মোড় নেয়। পরে সমস্যার কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কলকাতা হাইকোর্ট ঝালদা পুরসভা নিয়ে স্থগিতাদেশ জারি করল।

এদিকে ঝালদা পুরভোটের প্রসঙ্গ তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী রবিবারই রাজ্যপালকে চিঠিতে জানিয়েছেন, কংগ্রেসকে (Congress) পুরবোর্ড গঠন করা থেকে আটকাতে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করে কংগ্রেসকে নির্মূল করার চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি লেখেন, সিবিআই (CBI) তদন্ত (Investigation) শুরু করেছে। পুরসভার সমস্ত বিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের জায়গায় শাসকদলের প্রতিনিধিকে বসানো হয়েছে। এটা সরকারি প্রতিষ্ঠান, গণতন্ত্রের উপর বুলডোজার চালানোর সামিল এবং নির্বাচিত প্রতিনিধির গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন প্রদেশ সভাপতি। এই নোংরা খেলা বন্ধ করে গণতন্ত্র সুদৃঢ় করার জন্য রাজ্যপালের হস্তক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছেন অধীর।

 

 

Previous articleমুসলিম মহিলাদের নির্বাচনে দাঁড়ানো ইসলাম বিরোধী, ইমামের বক্তব্যে বিতর্ক
Next articleদুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নবান্নর, আবাস যোজনার দেখভালে প্রতি জেলায় স্পেশাল অফিসার নিয়োগ