দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নবান্নর, আবাস যোজনার দেখভালে প্রতি জেলায় স্পেশাল অফিসার নিয়োগ

নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা যোগ্য ব্যক্তিরা পাচ্ছে কি না, তা দেখতে প্রতিটি জেলায় একজন করে বিশেষ আধিকারিককে দ্বায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। একজন করে সিনিয়র আইএএস অফিসার বা ডব্লুবিসিএস অফিসারকে ওই কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে নির্দেশিকায় প্রকাশ।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স (Zero Tollerence)। আবাস যোজনার (Awaas Yojna) দেখভালে প্রতি জেলায় স্পেশাল অফিসার (Special Officer) নিয়োগ করল নবান্ন (Nabanna)। ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ গাইডলাইন (Guidelines) প্রকাশ করেছে রাজ্য। জেলায় জেলায় একজন করে স্পেশাল অফিসার (Special Officer) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। সোমবারই পঞ্চায়েত দফতরের তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা যোগ্য ব্যক্তিরা পাচ্ছে কি না, তা দেখতে প্রতিটি জেলায় একজন করে বিশেষ আধিকারিককে দ্বায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। একজন করে সিনিয়র আইএএস অফিসার (Senior IAS Officer) বা ডব্লুবিসিএস অফিসারকে (WBCS Officer) ওই কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে নির্দেশিকায় প্রকাশ।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা আনতে ইতিমধ্যে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিওদের ভূমিকা রাজ্য সরকার নিশ্চিত করে দিয়েছে। এবার একজন করে পদস্থ আধিকারিক ওই প্রকল্পের দেখাশোনা করবেন। এর আগেই যাতে যোগ্যরা আবাস যোজনার টাকা পায়, তা নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। কারা আবাস যোজনা সুযোগ পাবেন তা নিশ্চিত করতে ১৫ দফা শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

গাইডলাইন অনুযায়ী, কারা পাবেন না প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা-

• অতীতে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি বা অন্য কোনও সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধে পেয়ে থাকলে, এ বারের প্রকল্পের জন্য কোনও ভাবেই আবেদন করা যাবে না।
• আবেদনকারীদের পাকা বাড়ি থাকলেও তার আবেদন আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
• আবেদনকারীর পরিবারের কারও মাসিক আয় ১০ হাজার টাকার বেশি হলে, পরিবারের কেউ সরকারি চাকরিজীবী হলে বা আয়কর বা বৃত্তিকর দিলে তাঁরাও এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না।
• এমনকী, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যিনি ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি ঋণ নিয়েছেন তাঁরা পাবেন না।
• যাঁদের বাড়িতে রঙিন টিভি-ফ্রিজ-এসি আছে, বাড়িতে ল্যান্ডফোন আছে, যন্ত্রচালিত নৌকো বা কৃষি সরঞ্জাম রয়েছে, গাড়ি বা ট্রাক্টর রয়েছে, আড়াই একর বা তার বেশি কৃষিজমি রয়েছে, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত অকৃষি জমি রয়েছে তাঁরা কেউ এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

প্রায় আট মাস প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পায়নি রাজ্য। বিরোধীদের দাবি, প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে, যে কারণেই কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছিল। এবারে টাকা বরাদ্দের পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে একগুচ্ছ গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের একাংশের মতে, এবারে আর কোনও রকমের অভিযোগের সুযোগ দিতে চাইছে না নবান্ন। তার ওপরে পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি রুখতে মরিয়া প্রশাসন। যে কারণেই রাজ্যের তরফে এই বাড়তি ব্যবস্থা।

 

 

Previous articleঝালদা পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ মামলায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের! আপাতত দায়িত্বে জেলাশাসক
Next articleচোট সারিয়ে ফেরার ম্যাচে নয়া হেয়ার স্টাইলে “প্লাটিনাম” রং নেইমারের!