বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতি দিল না আদালত

আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই। এদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলার জন্য মাঠ দিতে বা পৌষমেলার দায়িত্ব নিতে নারাজ বলে সূত্রের খবর। ফলে ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে পৌষমেলার জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করা শুরু হয়েছে।

সামনেই পৌষমেলা (Poush Mela)কিন্তু সেই মেলার মাঠের অনুমতি মিলছে না কিছুতেই। বিশ্বভারতী (Viswa Bharati University)কর্তৃপক্ষ যে কোনভাবেই পৌষমেলার জন্য মাঠ দিতে রাজি নয়, তা একপ্রকার স্পষ্ট। এই ব্যাপারে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত । এবার সেখানেও মিলল না অনুমতি। এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Viswa Bharati University)সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মঙ্গলবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

সম্প্রতি পৌষমেলা নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে বৈঠকটি আয়োজিত হলেও সেখানে গরহাজির ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty)। এদিকে, মেলা থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায়, সে ব্যাপারে বহুবার বিশ্বভারতীকে সতর্কবার্তা দিয়েছে পরিবেশ আদালত, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। বিশ্বভারতীর নির্দিষ্ট মাঠে মেলা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। তারই শুনানিতে এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষমেলার অনুমতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে মামলা ফিরিয়ে দেয়। আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই। এদিকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলার জন্য মাঠ দিতে বা পৌষমেলার দায়িত্ব নিতে নারাজ বলে সূত্রের খবর। ফলে ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে পৌষমেলার জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করা শুরু হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে, বিশ্বভারতীর মাঠ না পেলে ডাকবাংলোর মাঠেই পৌষমেলা হবে। বিশ্বভারতীর মাঠে সুপ্রাচীন পৌষমেলা ইতিহাস হতে চলল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

 

Previous articleহরমনপ্রীত কৌরদের নতুন ব্যাটিং কোচ হলেন হৃষিকেশ কানিতকর
Next articleঅপেক্ষার দিন শেষ, এবার হেলিকপ্টারে চড়েই ঘুরতে পারবেন পাহাড়ে