মৃ*ত্যুতেও সম্প্রীতির বার্তা! অভিনব উদ্যোগ হায়দরাবাদে

সূত্রের খবর, যে জায়গায় সৎকার স্থান নির্মিত হয়েছে একসময় সেটি ছিল জঞ্জাল স্তুপ। নির্মাণ কাজের অব্যবহৃত সামগ্রী সেখানে ফেলে রাখা হত। সেই স্তুপ সরিয়েই জায়গাটিকে নতুন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে।

কবিগুরু বলেছিলেন, “নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান।” অর্থাৎ ভারতবর্ষ জুড়ে বৈচিত্র্য আর তার মধ্যেও সম্প্রীতির বার্তা। ঠিক সেই ছবি ধরা পড়ল সৎকার স্থানে (Cremation Ground)। হিন্দু-মুসলমান-খ্রিস্টানদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে একটিই সৎকার স্থান । অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে হায়দরাবাদে মেট্রোপলিটান ডেভলপমেন্ট অথরিটি (Hyderabad Metropolitan Development Authority)। প্রায় সাড়ে ছয় একর জমি জুড়ে তৈরি হয়েছে সৎকারের স্থান (Cremation Ground)।

জীবদ্দশায় প্রত্যেকের পৃথক ধর্মবিশ্বাস থাকলেও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ভারতবর্ষ তার নাগরিকদের স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্ম নিয়ে থাকতে পারেন। তাহলেই মৃত্যুতেই বা বিভেদ কিসের? মৃ*ত্যুর পর অবিনশ্বর আত্মাও মিলতে পারে একই গন্তব্যে। এই ভাবনা থেকেই চিরাচরিত ছক ভাঙার উদ্যোগ নিল হায়দরাবাদ। প্রত্যেক ধর্মের মানুষদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা জায়গা। কিন্তু শেষকৃত্য প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে একই প্রাঙ্গণের মধ্যে। সূত্রের খবর, যে জায়গায় সৎকার স্থান নির্মিত হয়েছে একসময় সেটি ছিল জঞ্জাল স্তুপ। নির্মাণ কাজের অব্যবহৃত সামগ্রী সেখানে ফেলে রাখা হত। সেই স্তুপ সরিয়েই জায়গাটিকে নতুন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রত্যেক ধর্মের সৎকারের জন্য পৃথক পৃথক অফিস গড়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে প্রার্থনার জায়গাও। হিন্দুদের শ্মশান স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুক্তি-ঘাট’। আড়াই একর জায়গা জুড়ে তৈরি এই শ্মশান। রয়েছে দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি (Electric furnace)। পাশাপাশি দাহ পরবর্তী সময়ে পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্নের জন্যও রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। এর পাশেই রয়েছে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের জন্য কবরস্থান। প্রত্যেক ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে দুই একর জায়গা। মৃ*ত্যুতেও যে সম্প্রীতির বার্তা বহন করা যায় তা যেন মনে করিয়ে দিতেই ছক ভাঙার এই উদ্যোগ।

 

Previous articleবিশ্ব ভারোত্তোলোকে রূপো পেলেন মীরাবাই চানু
Next article‘আত্মনির্ভর’ শুধুই কথার কথা, আমদানিকৃত দেশের তালিকায় আজও প্রথম সারিতে ভারত