ট্রমাকেয়ার সেন্টারে দীর্ঘসূত্রিতা! ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর, ফের ‘রেফার-রোগ’ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ট্রমা সেন্টার তৈরি হয়েছে যাতে আহত ব্যক্তিরা দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পান। সেখানে তাদের দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা যাবে না। ভর্তির প্রক্রিয়া চলার পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবাও শুরু করে দিতে হবে।

ট্রমা সেন্টার তৈরিই করা হয়েছে যাতে দ্রুত রোগী পরিষেবা পায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে যদি তাঁদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়, চিকিৎসা শুরু না করা হয়, সেটা মোটেই কাম্য নয়। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে এমনই কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। বৃহস্পতিবার, SSKM-এ গিয়ে এই প্রথমে তিনি দেখা করেন চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনায় (Chingirighata Accident) আহতদের সঙ্গে। তারপরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, চিংড়িঘাটার দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ঠিক মতো হলেও, ট্রমাকেয়ার সেন্টারে (Trauma Care Centre) যাঁরা ভর্তি আছেন, তাঁদের অনেকেরই ভর্তির পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে সঠিক চিকিৎসা শুরু হয়নি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ট্রমা সেন্টার তৈরি হয়েছে যাতে আহত ব্যক্তিরা দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পান। সেখানে তাদের দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা যাবে না। ভর্তির প্রক্রিয়া চলার পাশাপাশি চিকিৎসা পরিষেবাও শুরু করে দিতে হবে।

একই সঙ্গে ফের হাসপাতালের রেফার রোগ নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতাল থেকে রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। এসএসকেএম-এ আসেত আসতেই তো ৬ ঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে প্রসূতিদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলেন, “আমরা রোগীকে চিকিৎসা দেব, না মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেব!”

এর আগেও একাধিকবার সরকারি হাসপাতালের রেফার-রোগ নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বারবার বলেছেন, কথায় কথায় রোগীদের রেফার করা যাবে না। শুধু তাই নয়, গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের সময় রেফার করলে তাঁদের প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা যায় বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও দু-একটি অভিযোগ উঠছে। আর সেই প্রসঙ্গেই এ দিন ফের কড় বার্তা দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

 

 

Previous articleগুজরাটের ফলাফলের দোহাই দিয়ে বাতিল অমিত-সুকান্ত বৈঠক
Next articleনির্বিঘ্নে টেট পরিচালনা করতে তৎপর নবান্ন, রাস্তায় নামছে অতিরিক্ত বাস