মুখেই ‘সবকা বিকাশ’! মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

২০০৫ সালে ভারতে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য সাচার কমিটি তৈরি হয়। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা তপশিলি জাতির থেকেও খারাপ। এই কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ মেনেই তৎকালীন ইউপিএ সরকার মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালু করে। তবে শুধু মুসলিমই নয়, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, পারসি, শিখ পড়ুয়াদের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হত।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের জন্য মৌলানা আজাদ জাতীয় স্কলারশিপ (Maulana Azad Scholarship) বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central government)। কেন্দ্র সাফ জানিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই তা কার্যকর করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) জানিয়েছেন অন্যান্য স্কিমের কাছে এই স্কিমটি (Scheme) চাপা পড়ে যাচ্ছিল। আর সেকারণেই এমন সিদ্ধান্ত।

২০০৫ সালে ভারতে মুসলিম পড়ুয়াদের (Muslim Students) অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য সাচার কমিটি (Sachar Committee) তৈরি হয়। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা তপশিলি জাতির থেকেও খারাপ। এই কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ মেনেই তৎকালীন ইউপিএ সরকার মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালু করে। তবে শুধু মুসলিমই নয়, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, পারসি, শিখ পড়ুয়াদের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এম ফিল (M Phil) বা পিএইচডি (PHD) করতে গেলে এই স্কলারশিপের সুযোগসুবিধা পেত।

সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানান, উচ্চশিক্ষার সময়ে আর্থিক সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল স্কলারশিপকে সেই প্রকল্পগুলির অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যায়। তাছাড়া সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক প্রকল্প রয়েছে। তাই ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকেই মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল স্কলারশিপ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তবে পড়ুয়াদের অভিযোগ, এই স্কলারশিপের আওতায় থাকলেও দীর্ঘদিন টাকা মিলছে না।

তবে কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের পরই সরব হয়েছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের (Congress) অভিযোগ, কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের ফলে বিশাল সংখ্যক পড়ুয়া সমস্যায় পড়বেন। অন্যদিকে, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার (Jamia Milia Islamia) পড়ুয়ারা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের তরফে বলা হয়েছে, একদিকে সবকা বিকাশের কথা প্রচার করছে কেন্দ্র, অন্যদিকে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য স্কলারশিপ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

 

 

Previous articleএসএসসি অফিস নিয়োগ দুর্নীতির ‘আঁতুড়ঘর’, মুড়ি মুড়কির মতো নম্বর বাড়ানে হয়
Next articleকে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? সিদ্ধান্ত নিতে নাজেহাল অবস্থা হিমাচল কংগ্রেসের