অ্যাডমিট কার্ডে (Admit Card) ভুল ঠিকানা (False Adress) থাকার অভিযোগ। আর সেই কারণেই পরীক্ষা (Examination) শেষের মাত্র আধ ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছলেন কমপক্ষে ১৩ পরীক্ষার্থী। জানা গিয়েছে, অ্যাডমিট কার্ডে ঠিকানা ভুল থাকার কারণে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ (Hasnabad) থেকে দক্ষিন ২৪ পরগণার আমতলায় (Amtala) পৌঁছে জান পরীক্ষার্থীরা। আর সেখানে পৌছনোর পর তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের পরীক্ষার আসল কেন্দ্রের নাম। আমতলায় নয় পরীক্ষার সিট পড়েছে খড়দহের কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠে। আর এমন কথা শোনার পর তড়িঘড়ি খড়দহের উদ্দেশে রওনা দেন পরীক্ষার্থীরা। আর নির্দিষ্ট স্কুলে পৌছনোর পর তাঁরা দেখেন পরীক্ষা শেষ হতে আর মাত্র আধ ঘণ্টা বাকি। তবে পর্ষদ (Board of Primary Education) সাফ জানিয়েছে, ওয়েবসাইট ও পোর্টালে সমস্ত আপডেট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যেসব পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলছেন, তাঁরা নিজেরাই পর্ষদের ওয়েবসাইট ঠিকমত চেক করেননি। এতে পর্ষদের কোনও ত্রুটি নেই।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডের নীচে আমতলার এক সেন্টারের কথা লেখা ছিল। খড়দহে বাড়ির কাছেই পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। মাত্র ৪৫ মিনিট তাঁরা পরীক্ষা দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। এদিন পৌনে ২ টো নাগাদ পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছলেও দুপুর আড়াইটের মধ্যেই তাঁদের উত্তরপত্র (Answer Script) নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই ১৩ জন পরীক্ষার্থী। পাশাপাশি তাঁরা আর জানিয়েছেন মেরেকেটে মাত্র ৩০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছেন তাঁরা।

তবে এদিন আসল পরীক্ষাকেন্দ্রের কথা পরীক্ষার্থীরা জানার পরই স্থানীয় বিষ্ণুপুর থানায় (Bishnupur Police Station) যোগাযোগ করা হয়। পরে থানার উদ্যোগেই তাঁদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। যদিও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, খড়়দহের কল্যাণনগর বিদ্যাপীঠের ঠিকানা সম্পর্কে কয়েকদিন আগেই ওয়েবসাইটে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপলোড করা হয়েছিল পোর্টালেও। এতকিছুর পরেও কেন পরীক্ষার্থীরা সেবিষয়টি জানতে পারলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
