বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে হতাশ সেলেকাওরা, সতীর্থদের কথাবার্তা প্রকাশ‍্যে আনলেন নেইমার

নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সতীর্থদের সঙ্গে কথাবার্তা প্রকাশ্যে এনেছেন নেইমার। আর সেখানেই বোঝা গিয়েছে কতটা দুঃখে রয়েছেন তাঁরা।

কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ব্রাজিল। আর এরপরই চোখের জলে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় নেইমার, থিয়েগো সিলভা, রিচার্লিসন, অ‍্যান্টোনিদের। বিশ্বকাপের এই হার যে তারা এখনও মানতে মারছেন না, যা তাদের এখনও বেদনা দিচ্ছে তা আরও একবার ফুটে উঠল নেইমারের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সতীর্থদের সঙ্গে কথাবার্তা প্রকাশ্যে এনেছেন নেইমার। আর সেখানেই বোঝা গিয়েছে কতটা দুঃখে রয়েছেন তাঁরা।

নেইমার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর দেশের সতীর্থদের কথাবার্তা তাদের অনুমতি ছাড়াই পোস্ট করেন। যেখানে তিনি কথা বলেন মার্কুইনহোস, থিয়াগো সিলভা এবং রড্রিগোর সঙ্গে।  তিনি পোস্ট করে লিখেছেন, “আমি তাদের অনুমতি ছাড়াই তাদের কথাবার্তা প্রকাশ করছি। যাতে আমরা কতটা জিততে চেয়েছিলাম এবং আমরা কতটা একজোট ছিলাম তা দেখা যায়। আরও শক্তিশালী হতে হবে এগিয়ে চলার জন্য এবং আমি নিশ্চিত যে, সকল ভক্তদের সমর্থনে আমরা আবারও ফিরে আসব আরও শক্তিশালী হয়ে। আমি প্রচুর ভালোবাসা সহ একজন গর্বিত ব্রাজিলিয়ান!”

এরপরই নেইমার মার্কুইনহোসের সঙ্গে কথাবার্তা প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায়, নেইমার মার্কুইনহোসকে লিখেছেন, কেমন আছ? আমি তোমার একজন ফ্যান। তোমার সম্পর্কে যা ভাবি, সেটা একটা পেনাল্টি কোনও দিন বদলাতে পারবে না। একটি পেনাল্টি কখনই তোমার ব্যাপারে আময়ার ধারণা পালটে দেবেনা। আমি সব সময় তোমার পাশে আছি।” মার্কুইনহোস উত্তরে লিখেছেন, “ধীরে ধীরে নিজেকে সামলাচ্ছি। সময়ই দুঃখ ভুলিয়ে দেবে। আমার সম্পর্কে ভাবার জন্য ধন্যবাদ। চেয়েছিলাম সব যাতে ঠিক থাকে। একটা পেনাল্টিতে তোমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল এটা ভাবতেই পারছি না। তবে আমাদের শক্ত হতে হবে। দেখা যাক ফুটবল আমাদের জন্যে কী নিয়ে অপেক্ষা করছে। আমি সত্যি চেয়েছিলাম যাতে সবকিছু ঠিকঠাক যায়। জবাবে নেইমার বলেছেন, “আমিও তোমার মতোই ভাবি। সময় গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমিও শক্ত থাকো। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাও।”

 

এরপরই নেইমার প্রকাশ‍্যে আনেন ব্রাজিলের রক্ষণের অন‍্যতম তারকা থিয়াগো সিলভার সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা। থিয়াগো সিলভাকে নেইমার লিখেছেন, “আমি সত্যি চেয়েছিলাম এই বিশ্বকাপ তোমাকে দিতে। তুমি, আমি এবং দানি আলভেস এই ট্রফি জেতার যোগ্য ছিলাম। কিন্তু ঈশ্বরের বোধহয় অন্য কোনও ইচ্ছা রয়েছে।” এর জবাবে সিলভা বলেন, “ভাই, আমি যতট ভেবেছিলাম তাঁর থেকেও বেশিও খারাপ লাগছে। আমি সহ্য করতে পারছি না। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমরা হেরে গেছি। আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা। যতবার আমার বিষয়টি মনে পরছে আমার কান্না পাচ্ছে। আশা করি ঠিক হয়ে যাব।” এরপরই নেইমার আবার লেখেন, “টিভির দিকে তাকালেই রেগে যাচ্ছি। কী দুঃখের মুহূর্ত।”

এরপরই নেইমার ব্রাজিলের তরুন প্রতিভা রড্রিগোকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেন। প্রসঙ্গত রড্রিগো ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম পেনাল্টি মিস করেছিলেন। রড্রিগো নেইমারকে লেখেন, “আমি ক্ষমা প্রার্থী।” এর উত্তরে নেইমার লেখেন, “তুমি কি পাগল? শুধুমাত্র তারাই পেনাল্টি মিস করে যারা পেনাল্টি মারতে এগিয়ে আসে এবং তুমি সেরা। আমি তোমাকে বলতে চাই, তুমি একজন তারকা। তোমার কেরিয়ারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। আমি যে তোমার আদর্শ এটা জানতে পেরে গর্বিত। তুমিও ব্রাজিলের একজন তারকা হয়ে উঠেছো। আমি কেরিয়ারে অনেক ভুল করেছি এবং শিক্ষা নিয়েছি। কখনও হাল ছাড়িনি। প্রতিবার নিজেকে ভাল করার চেষ্টা করেছি। শক্ত থাকো। সমালোচনা এবং চাপই তোমাকে শক্তিশালী করে দেবে। তখন মনে রাখবে যে আমি বলেছিলাম, ‘তুমি একদিন ব্রাজিলকে ট্রফি জেতাবে।’ তোমার দারুণ সাফল্য কামনা করি।”

আরও পড়ুন:মরক্কোকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্স কোচের

 

 

Previous articleফের পিছিয়ে গেল অনুব্রতর মামলা, দিল্লি নিয়ে যেতে ব্যর্থ ইডি
Next articleফের উত্তপ্ত ভারত-চিন সীমান্ত! জখম ৩০ জনের বেশি সেনা