বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুতে এ বার তদন্তে সিআইডি। মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছয় চার সদস্যের সিআইডির দল। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলাটি দেখছে সিআইডি।জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।
আরও পড়ুন:লালন শেখের রহস্যমৃ*ত্যু:হাই কোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। যদিও সিবিআইয়ের দাবি, ‘আত্মহত্যা’ করেছে লালন। তবে লালন শেখের পরিবারের দাবি, লালনকে ‘খুন’ করা হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে কীভাবে লালন শেখের মৃত্যু হল, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।ইতিমধ্যেই লালনের মৃত্যুর সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিবিআই আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। এদিকে ঘটনায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখ এঁড়িয়ে কী করে মৃত্যু হল লালন শেখের? এনিয়ে প্রশ্ন তুলে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রক ও সিআইডির সদর দফতর। এমতাবস্থায় লালনের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ বলে জানিয়েছে বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার। মঙ্গলবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছেছে সিআইডি।
সিবিআই আধিকারিকদের গ্রেফতারির দাবিতে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মৃত লালনের পরিবার। পাশাপাশি ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন পরিবারের সদস্য আত্মীয়রা। বিক্ষোভের সময় বিস্ফোরক অভিযোগ করেন লালনের মেয়ে। তিনি দাবি করেন, ‘‘সিবিআই আধিকারিকরা সোমবার দুপুরে গ্রামে গিয়েছিলেন। ওঁরা বলেছিলেন যে, শেষ দেখা দেখে নাও বাবাকে।’’ একই অভিযোগ করেন লালনের স্ত্রীও। তাঁর অভিযোগ, স্বামী এবং ছেলেকেও মারবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমনকি তাঁকেও মারধর করেছে সিবিআই আধিকারিকটা বলে অভিযোগ করেন রেশমা বিবি।