নিজের উদাহরণ টেনে কুণালের দাবি, গ্রেফতারি এড়ানোর কোনও রক্ষাকবচ নেই শুভেন্দুর

গত, বুধবার আসানসোলে শুভেন্দুর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না। কম্বলের জন্য হুড়োহুড়ি থেকে চরম বিশৃঙ্খলা এবং মর্মান্তিক পরিণতি। পদপিষ্ট হয়ে এক নাবালিকা সহ তিনজনের মৃত্যু।

“গ্রেফতারি এড়ানোর কোনও রক্ষাকবচ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেই, পুলিশ যদি মনে করে আজ এই মুহূর্তে এখনই আসানসোল কাণ্ডে (Asansol) শুভেন্দু ওকে গ্রেফতার করতে পারে। তাই আমরা গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছি।” আজ, শুক্রবার ফের একবার বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

গত, বুধবার আসানসোলে শুভেন্দুর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না। কম্বলের জন্য হুড়োহুড়ি থেকে চরম বিশৃঙ্খলা এবং মর্মান্তিক পরিণতি। পদপিষ্ট হয়ে এক নাবালিকা সহ তিনজনের মৃত্যু। এই গোটা ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী বলে দাবি করছে তৃণমূল। রাজ্য সরকারেরও একই মনোভাব।

ওই দুর্ঘটনায় শুভেন্দুকে অভিযুক্ত করে গতকাল, বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু যেহেতু ইতিমধ্যেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনওরকম এফআইআর দায়ের করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ, তাই শীর্ষ আদালতে বিষয়টি হাইকোর্টেই ফিরিয়ে দেয়।

এরপর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়। কিন্তু শুক্রবার যখন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সেই মামলা ওঠে তখন বিচারপতি জানিয়ে দেন, “এই মামলার আর্জেন্সি নেই।” অর্থাৎ এই মামলা এমন কিছু জরুরি না যা আজকেই শুনতে হবে। শুনানি তিন সপ্তাহ পিছিয়েও দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ফলে, আপাতত তিন সপ্তাহ শুভেন্দুর রক্ষাকবচ বহাল থাকছে, যা তাঁর কাছে অনেকটাই স্বস্তির বলে মনে করা হচ্ছে।

হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠক থেকেই তিনি পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অতীতে নিজের একটি মামলার উদাহরণ টানেন কুণাল। তুলে ধরেন তাঁর গ্রেফতারির প্রসঙ্গ। এবং যুক্তি সহযোগে বলেন, “রক্ষাকবচের কোথাও কিন্তু নট টু অ্যারেস্ট (Not to Arrest) লেখা নেই। রক্ষাকবচের যে অর্ডার অনারেবল জাস্টিস মান্থার রয়েছে তাতে লেখা আছে যে, এফআইআর-গুলো স্টে করা হল, এবং আগামিদিন কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও এফআইআর করা যাবে না। এই পার্টটা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে, সেটা আলাদা পার্ট। কিন্তু পাশাপাশি আমি বলছি ও আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ রাখব আপনাদের যা তদন্ত চলছে চলুক। সেখানে দলের তরফে বা কোনও ব্যক্তির তরফে হস্তক্ষেপের প্রশ্ন নেই। কিন্তু রক্ষাকবচ বলে যদি শুভেন্দ অধিকারী মনে করে থাকেন নট টু অ্যারেস্ট, তাহলে আমি পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে বলছি গ্রেফতারি এড়ানোর কোনও রক্ষাকবচ শুভেন্দু অধিকারীর নেই, নেই এবং নেই। পুলিশ যদি মনে করে আজ এই মুহূর্তে এখনই আসনসোল কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারীকে অ্যারেস্ট করতে পারে। তারপর তিনি জামিন পাবেন কি পাবেন না তাদের ব্যাপার।”

এ প্রসঙ্গে আইনের নির্দিষ্ট কিছু ধারার উল্লেখ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আমার জীবন দিয়ে বলছি, CRPC দেখুন, IPC দেখুন। নাম নথিভুক্ত নাও থাকতে পারে। অন্য অভিযুক্ত হিসাবে আর কারও নাম জড়িত থাকলে তাকে গ্রেফতার করা যাবে। ১৬১ বা ১৬৪ এর ধারায় গ্রেফতার করা যায়। আমি, কুণাল ঘোষ বলছি, আমায় এইভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল।”

 

 

Previous articleভূমিধসে বিধ্বস্ত মালয়েশিয়া! বাড়ছে মৃ*তের সংখ্যা
Next articleরাজ্য সরকারের ওপর আস্থা নেই মিঠুনদার, ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়ে কেন এত আগ্রহ ? কটাক্ষ কুণালের