নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম খু*নে গ্রেফতার আরও দুই । ধৃতরা হলেন রাজকুমার মণ্ডল ওরফে খালেক ও পিঙ্কু মণ্ডল। ধৃতদের শনিবার দুপুরে দমদম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্তরা।এই নিয়ে মতিরুল খুনে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ১০।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজকুমার নদিয়ার থানারপাড়া থানা এলাকার আজলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকায় মাটি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় খুন, খুনের চেষ্টা, মাদক পাচারের মতো অভিযোগ রয়েছে।অন্য দিকে পিঙ্কুর বাড়ি থানারপাড়া থানার পরানপুর এলাকায়। স্থানীয় একাধিক ক্লাব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি।তাঁর স্ত্রী রাবেয়া ২০১৮ সাল থেকে করিমপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। পুলিশের দাবি, যে ইটভাটা নিয়ে বিবাদ তার অন্যতম অংশীদার পিঙ্কু।
আরও পড়ুন- বাংলার নাবালিকাকে বিহারে বিক্রি ! কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের যুবক

উল্লেখ্য, গতমাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামের। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

নদিয়ার নারায়ণপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী মতিরুল নিজেও করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। তাঁদের ছেলে নওদার একটি বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। তার সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যেই নওদা যেতেন মতিরুল। বৃহস্পতিবারও সেখানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানেই মোটরবাইক আটকে বোমা মারা হয়। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁকে গুলি করা হয়।
