বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশ্নের মুখে পড়বে ৩০ হাজার শিক্ষকের চাকরি। মঙ্গলবার, ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একটি মামলায় এই মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguli)। বিচারপতির নির্দেশ, মামলাকারীদের দেওয়া ১৩৯ জনের নম্বর মিলিয়ে দেখতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জানুয়ারি।

২০১৪ সালে টেট হয়েছিল। তার মেধাতালিকার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ করা হয়। প্রাথমিকে চাকরির দাবিতে প্রিয়ঙ্কা নস্কর-সহ ১৪০ জন হাই কোর্টে মামলা করেন। অভিযোগ, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর পেয়েও চাকরি দেওয়া হয়েছে অনেককে। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেলে ৮২৪ জনের নাম রয়েছে। মামলাকারীরা ইন্টারভিউ বা বোর্ডের অ্যাপটিটিউ টেস্ট না দিয়েই তাঁদের নম্বর বেশি। ১৩৯ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়, চাকরি পেয়েছেন এমন অপ্রশিক্ষিতদের থেকে যাঁদের নম্বর বেশি। মামলাকারীর অভিযোগ, মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর নিয়ে। এর প্রেক্ষিতে ১৩৯ জনের তালিকাটি খতিয়ে দেখার জন্য পর্ষদকেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘‘অভিযোগ প্রমাণ হলে ৩০ হাজার চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়বে। আর এই নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলে চাকরি বাতিল করবে আদালত।’’
আরও পড়ুন- সাইবার অপরাধ নিয়ে সচেতনতায় ‘সাইব্রো’-কে আনছে কলকাতা পুলিশ
