ভারত জোড়ো যাত্রা থামাতেই ‘কোভিড ভাইরাস’ ছেড়েছে কেন্দ্র! তোপ শিবসেনার

ভারত জোড়ো যাত্রা(Bharat Jodo Yatra) বন্ধ করতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে(Ashok Gehlat) চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। এই চিঠিকে কেন্দ্র করে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে এবার কংগ্রেসের(Congress) পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালো শিবসেনার(Shiv Sena) উদ্ধবপন্থী শিবির। তাদের জাতীয় মুখপত্র সামনাতে রীতিমতো ব্যাঙ্গের সুরে লেখা হল কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা থামাতে করোনা ভাইরাস ছেড়েছে কেন্দ্র।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তরফে সম্প্রতি রাহুল ও গেহলটকে চিঠি লিখে বলা হয়েছে, হয় কোভিডবিধি মেনে পদযাত্রা করুন, না পারলে যাত্রা স্থগিত করে দিন। কেন্দ্রের এহেন পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, অতিমারি থেকে বাঁচার নির্দেশিকা যদি কেন্দ্রীয় সরকার জারি করে তা হলে তা হয় গোটা দেশের জন্য। এ বার কি রাজনৈতিক দলের জন্যেও নির্দেশিকা জারি করা শুরু করল মোদি সরকার! এই পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজনীতি যখন উত্তাল হয়ে উঠেছে ঠিক সেই সময় শিবসেনার জাতীয় মুখপত্র সামনাতে লেখা হল, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় পরামর্শ দিয়েছেন, ভারত জোড়ো যাত্রায় যেন কোভিড বিধি পালিত হয়, না হলে পদযাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হোক। রাহুল গান্ধী গত ১০০ দিন ধরে হেঁটে চলেছেন। তাঁর পদযাত্রায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও চোখে পড়ার মতো। আইন বা ষড়যন্ত্র— সরকার একে কোনও ভাবেই আটকাতে পারছে না। তাই মনে হচ্ছে কেন্দ্র কোভিড ১৯ ভাইরাস ছেড়েছে!”

এখানেই থামেনি শিবসেনা। এরপর সরাসরি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দেগে লেখা হয়েছে, “ভারত জোড়ো যাত্রায় করোনা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে, এ কথা ঠিক। কিন্তু ৩ বছর আগে যখন করোনা বেপরোয়া গতিতে বাড়ছিল, তখন গুজরাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ডেকে এনেছিল কে?” এদিকে এই ইস্যুতে মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এই চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রায় যা ভিড় হচ্ছে এবং যে ভাবে সাধারণ মানুষ তাতে অংশ নিচ্ছেন, তা দেখে ভীত মোদি সরকার তড়িঘড়ি চিঠি লিখতে বসেছে। জাতীয় স্বার্থের দোহাই দিয়ে আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধিত করার ইচ্ছে হয়েছে নরেন্দ্র মোদির।” গেহলট আর বলেন, “দু’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদি ত্রিপুরায় জনসভা করলেন, সেখানে কোনও কোভিডবিধি মানা হয়েছে কি? করোনার দ্বিতীয় স্ফীতির সময়ও প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক জনসভা করে গিয়েছেন। যদি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য রাজনৈতিক ফয়দা তোলা না হয়, তা হলে তাঁর প্রথম চিঠিটি তো লেখা উচিত প্রধানমন্ত্রীকে!”

Previous articleমিলল না জামিন! আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-কল্যাণময় সহ ৭ জনের
Next articleKIFF 2022 : বিশ্ব মিলল সিনেমার মেলায়, শেষ লগ্নেও বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস!