চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড, হাসপাতালগুলোকে একগুচ্ছ নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবনের

গত একমাসের মধ্যে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের জিন বিশ্লেষণ করে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নমুনা পাঠাতে হবে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (Tropical Medicine)।শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ও জেএনএমের (JNM)নমুনা যাবে কল্যাণীতে।

ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে কোভিড ১৯ (Covid 19) । কোভিডের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর প্রকোপেই এখন চিন বিপর্যস্ত। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Central Health Ministry) তরফে একাধিক বৈঠক সেরেছেন মনসুখ মান্ডব্য (Mansukh Mandavya) । এর মাঝে রাজ্যের বুকে ফের চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7। তাই হাসপাতালগুলিকে একগুচ্ছ নির্দেশ পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন (Swasthya Bhawan)।

 

উৎসবের মরশুমে পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় তাই সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলার জেলা শাসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের (Department of Health & Family Welfare)আধিকারিকরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং সব রকমের তদারকি চালান হচ্ছে। এবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হল। যেখানে বলা হয়েছে,গত একমাসের মধ্যে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের জিন বিশ্লেষণ করে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নমুনা পাঠাতে হবে ট্রপিক্যাল মেডিসিনে (Tropical Medicine)।শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ও জেএনএমের (JNM)নমুনা যাবে কল্যাণীতে। এমনিতেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। ঠাণ্ডার সময়েও নিম্নচাপের কারণে মাঝে মাঝেই চড়ছে পারদ আর এই সবের জেরে সর্দি কাশি অসুস্থতা লেগেই আছে। সেই নিয়েও সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতেও সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর হদিশ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে সংখ্যাটা যে কোনও সময়ে লাফিয়ে বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্যভবনের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলেই কোভিড পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ঠান্ডা লাগা, জ্বর, ক্লান্তি, মাথা ব্য়াথা, শরীরে অসহ্য় ব্য়াথা, গলা ব্য়াথা, সর্দি এই সব লক্ষণগুলোর মধ্যেই কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্টের যোগ পাওয়া গেছে। তাই পরীক্ষা না করে বিষয়টি হালকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছে যে পরিস্থিতি মোকাবিলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে বাংলায়।

 

Previous articleস্কুলে মুসলিম প্রার্থনা সঙ্গীত গাওয়ায় যোগীরাজ্যে সাসপেন্ড প্রিন্সিপাল, অভিযোগ দায়ের
Next articleডবল ইঞ্জিনের বেহাল দশা: অসমে ৩০০০ স্কুলে নেই শৌচালয়, বিদ্যুৎ