আবাস প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে বাদ প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ নাম !

এই প্রক্রিয়া সেরে সঠিক উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কাজ শুরু করে দিতে চাইছে সরকার। 

আবাস প্লাস প্রকল্পে উপভোক্তাদের তালিকা তিন দফা পরীক্ষার কাজ এখন শেষ পর্যায়। এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষের বেশি অযোগ্যদের নাম বাতিল করেছেন আধিকারিকরা। এর মধ্যে একটা বড় অংশ জব কার্ড ডুপ্লিকেশনের কারণে বাদ গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  এদিকে, দ্রুত এই প্রক্রিয়া সেরে সঠিক উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কাজ শুরু করে দিতে চাইছে সরকার। প্রথম দফায় অঙ্গওয়াড়ি-আশাকর্মীদের তালিকা যাচাইয়ের প্রক্রিয়াতেই অনেক অযোগ্য উপভোক্তার নাম বাদ  দেওয়া হয়েছিল। বিডিও, পুলিস, জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের আরেক দফা পরীক্ষার পর বাদ যায় বহু নাম। বর্তমানে সুপার চেকিংয়ের কাজও অনেক জেলায় শেষ। কোথাও আবার তা শেষ পর্যায়ে। তাতেও বাতিল হয়েছে অনেক নাম। আর সেই সব তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে, রাজ্যে আবাস প্লাসের তালিকা থেকে ৫ লক্ষের বেশি নাম বাদ চলে গিয়েছে। সূত্রের খবর, কেন বাতিল করা হয়েছে, এমন প্রতিটি উপভোক্তার ক্ষেত্রে কারণ, ছবি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। কেউ যাতে কোনও প্রশ্ন তুলতে না পারে বা এ নিয়ে বিতর্ক না হয়, তার জন্য বাড়তি সতর্ক নবান্ন। আবাস প্লাস নিয়ে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার একটি বৈঠক করে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বরাদ্দ ছাড়তে হবে বলে আবারও রাজ্যকে সতর্ক করে হয়েছে। কেন্দ্রের চোদ্দো দফা বিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকা সংশোধন করতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাতে এখনও পর্যন্ত মূল তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ নাম। গত ১০ ডিসেম্বরের তালিকা অনুযায়ী, আবাস (প্লাস) প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকায় ছিল প্রায় ৪৫.৭২ লক্ষ নাম। শনিবারের রাজ্যভিত্তিক তালিকা অনুযায়ী, ‘যোগ্য’ উপভোক্তা হিসাবে ঠাঁই পেয়েছে প্রায় ৪০.২৭ লক্ষ উপভোক্তার নাম। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত নাম বাদ গিয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ। আর এই শেষ লগ্নে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, একটি জব কার্ডের যে কোনও এক জন উপভোক্তাকেই বাড়ি দেওয়া যাবে। তালিকা যাচাইয়ের পরে আর কোনও সংশোধন বা তথ্যবদলও করতে পারবে না রাজ্য। কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের উপর নতুন করে চাপ বাড়াল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের অনেকে।

প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, কেন্দ্রের কড়া বিধির ভিত্তিতেই জেলায় জেলায় এই তালিকা সংশোধনের কাজ করতে হয়েছে রাজ্যকে। তালিকা সংশোধন করে চূড়ান্ত অনুমোদনের পরে তা আপলোডও করতে হচ্ছে কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ডেটাবেসে।

Previous articleবড়দিনের আনন্দে আলোয় ভাসছে ‘নির্মল হৃদয়’
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস