লালন কাণ্ডে সিআইডির কাছে কেস ডায়েরি তলব কলকাতা হাইকোর্টের

সিবিআইয়ের আইনজীবীর পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, এই আশঙ্কার কোনও কারণ নেই বলে আমার বিশ্বাস।

বগটুই (Bogtui) মামলার অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Seikh) মৃত্যুর তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে কেস ডায়েরি (Case Diary) চেয়ে পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এদিন নির্দেশ দেন আগামী সোমবারের মধ্যে সিআইডিকে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরই এই মামলার শুনানি হবে। সোমবার বেলা ১১ টায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

শুক্রবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, ময়না তদন্তের (Post Mortem) যে রিপোর্ট সিবিআইয়ের হাতে এসেছে, তাতে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা আরও তীব্র হচ্ছে। তবে সিবিআইয়ের আইনজীবীর পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, এই আশঙ্কার কোনও কারণ নেই বলে আমার বিশ্বাস। সত্য কেউ গোপন করতে পারবে না। আমি মামলার কেস ডায়েরি দেখতে চেয়েছি। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

পাশাপাশি শুক্রবার সিবিআইয়ের আইনজীবীকে আশ্বস্ত করে বিচারপতি বলেন, আপনাদের অফিসারদের তো আইনি রক্ষাকবচ রয়েছে। অন্যদিকে, সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায় বলেন, সিবিআই অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আমাদের আগে নোটিস দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত দুটোয় নোটিস পেয়েছি আমরা। সিবিআইয়ের এত তাড়া কীসের।

উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগারে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বীরভূম পুলিশ জানায়, আংশিক ঝুলন্ত ছিল দেহ। গলায় ফাঁস লাগান ছিল ঠিকই কিন্তু লালন শেখের পা মাটিতে ঠেকেছিল। এদিকে লালনের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। রামপুরহাটের ওই অস্থায়ী ক্যাম্প ইতিমধ্যে সিল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ১৫ -২০ দিনে এই তদন্ত কোন পথে এগোল তা বিস্তারিত কেস ডায়েরিতে দিতে হবে সিআইডিকে।

 

 

Previous articleমমতার মাস্টারস্ট্রোক,নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার মধ্যে সংযোগকারী সেতু তৈরি করবে  রাজ্য সরকার
Next articleএবার ভারতে ক্যাম্পাস খুলছে স্ট্যানফোর্ড ও অক্সফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়