গেরুয়া সন্ত্রাস কবলিত ত্রিপুরায় শান্তিপূর্ণ ভোটের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আগরতলায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

ত্রিপুরায় যে কোনও ভোটে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস, ছাপ্পা, রিগিংয়ের অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী ও বাইক বাহিনী দাপটে ভোটের দিন মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। ভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করেছে বিজেপি

শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে গেরুয়া সন্ত্রাস কবলিত ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আগরতলায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা একাধিক বৈঠক করেন। ভোটে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।

আরও পড়ুন:নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরায় একদিন আগে যেতে চাইলেও আশাপূরণ হল না শাহের, কেন জানেন?

এই বৈঠকে রাজীব কুমার বলেন, “ত্রিপুরায় অবাধ, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর ব্যাপারে কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণতন্ত্রের এই উৎসবে ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে অংশ নিতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছি আমরা। যদি কোনও ভোটারকে হুমকি বা বাধার মুখে পড়তে হয়, তাহলে সিভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষকে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারেন।”

ত্রিপুরাবাসীকে আশ্বস্ত করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, “ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে ত্রিপুরার মুখ্য সচিব, ডিজিপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধি, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে গত দু’দিন ধরে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ, হিংসামুক্ত এবং শান্তিপূর্ণভাবে করানো যায়, তা নিশ্চিত করার জন্যই প্রশাসনিক আধিকারিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলে।”

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটারদের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের সঙ্গেও যদি কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তাহলে সংশ্লিষ্ট দলকে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় যে কোনও ভোটে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস, ছাপ্পা, রিগিংয়ের অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী ও বাইক বাহিনী দাপটে ভোটের দিন মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না। ভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করেছে বিজেপি। গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে গোটা ত্রিপুরা জুড়ে জঙ্গলরাজ কয়েক করেছে গেরুয়া বাহিনী। তাই এবার ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন যাতে সন্ত্রাসমুক্ত করা যায় সেদিকেই লক্ষ্য নির্বাচন কমিশনের।

 

Previous articleমাধ্যমিক ২০২৩: পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তায় “নো” সিভিক, শুধু পুলিশ, থাকবে রিয়েল টাইম অ্যাপ
Next articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস