লালন শেখের রহস্যমৃ*ত্যুতে গাফিলতি! ২ আধিকারিককে সাসপেন্ড সিবিআইয়ের

লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে মুখ পুড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।এমনকি ঘটনায় ধাক্কা খেয়েছে বহটুই গণহত্যা তদন্তও। এবার এই ঘটনায় মুখ লুকোতে না পেরে নিজেদের গাফিলতি একরকম মেনে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। লালনের মৃত্যুর সময় যে সিবিআই কর্তারা, কেন্দ্রীয় সংস্থার রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে ছিলেন সেই চারজনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।এই ঘটনায় লালনকাণ্ডে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন:মুর্শিদাবাদে হাসপাতাল, অরিজিৎ সিংয়ের স্বপ্নপূরণে পাশে থাকার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

পুলিশি হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় মুখ পুড়েছে সিবিআইয়ের।বগটুই হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। কিন্তু অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের হেফাজতে মৃত্যুর পর গোটা তদন্তই ধাক্কা খেয়েছে। এই অবস্থায় মুখ বাঁচাতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসার সহ দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করল সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে খবর, এই কর্তাদের উপস্থিতিতে কী ভাবে একজন অভিযুক্তের মৃত্যু হল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্তারা। সাসপেন্ড অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন সিবিআই ইনস্পেক্টর রাহুল প্রিয়দর্শী, সিবিআইয়ের ডিএসপি বিলাশ মাদগুঠ এবং দু’জন কনস্টেবল। যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, লালনকাণ্ডে উঠে আসা আর এক সিবিআই কর্তা সুশান্ত ভট্টাচার্যের কোনও ভূমিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার এই কর্তার সঙ্গে লালনের মৃত্যুর কোনও সংযোগ নেই বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। একই ভাবে লালন মৃত্যুর ঘটনায় আর যে সমস্ত এসপি বা ডিআইজির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করেনি সিবিআই। তবে সোমবার চার তদন্তকারী কর্তাকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি বগটুই এবং ভাদু শেখ খুনের মামলায় চার জন নতুন তদন্তকারী কর্তাও নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরের শৌচালয়ে লালনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। ওই অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছেন বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়। কিন্তু লালনের স্ত্রী রেশমা বিবির অভিযোগ, সিবিআই মারধর করে তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। তিনি সাত জন সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, হুমকি-সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মামলা করেন।এমনকি ঘটনার সিআইডি তদন্তের দাবি করেছেন লালনের স্ত্রী।সেই মত তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশ। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের সাসপেন্ড করার ঘটনায় সিআইডি তদন্তে নয়া মোড় নিল বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Previous articleমুর্শিদাবাদে হাসপাতাল, অরিজিৎ সিংয়ের স্বপ্নপূরণে পাশে থাকার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleবিচারপতি মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ নিয়ে খোঁজ নিতে হাইকোর্টে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি, মিছিল আইনজীবীদের