ফের রেফার রোগের ব*লি! ৩টি হাসপাতাল ঘুরে NRS-এ মৃত্যু যুবকের

যদিও এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কাছে আসার পরে যুবকের চিকিৎসা শুরু হয়। অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই, রোগীর মৃত্যু হয়।

ফের রেফার রোগের অভিযোগ। প্রাণ হারালেন ২৬ বছরের যুবক। মঙ্গলবার, ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে এনআরএস (NRS) হাসপাতালে। অভিযোগ, কলকাতায় একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে ভোরে এনআরএস-এ নিয়ে যাওয়া হয় মেঘনাদ চন্দ্র (Megnad Chandra) নামে ওই যুবককে। সেখানেই মারা যান তিনি। যদিও এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কাছে আসার পরে যুবকের চিকিৎসা শুরু হয়। অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই, রোগীর মৃত্যু হয়।

বারবার হাসপাতালের রেফার রোগ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিশেষ করে ট্রমা কেয়ারের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা শুরুর কথা বলেন তিনি। কিন্তু তাও যে বিশেষ কাজ হচ্ছে না, তার প্রমাণ মিলল টালিগঞ্জের মেঘনাদ চন্দ্রর ঘটনায়। মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ফুটবল খেলতে গিয়ে কিছুদিন আগে কুঁচকিতে চোট লাগে মেঘনাদের। এরই মধ্যে সোমবার বাইক থেকে পড়ে গিয়ে ফের আঘাত পান। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। পরিবারের লোকেরা তাঁকে নিয়ে এক থেকে অন্য হাসপাতাল ঘুরে বেড়ান বলে অভিযোগ। প্রথমে মেঘনাদকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে SSKM হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল ঘুরে এনআরএস-এ ভর্তি করতে পারে পরিবার। চন্দ্র পরিবারের অভিযোগ, মেঘনাদকে চিকিৎসা না করে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়। যদিও, গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কাছে আসার পরেই যুবকের চিকিৎসা শুরু হয়। অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই, রোগীর মৃত্যু হয়।

চিকিৎসক-সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই খুব দুঃখের। গতকাল দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে এনআরএসে নিয়ে আসা হয়। এনআরএসে চিকিৎসাও শুরু হয়। ওটিতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। বাড়ির লোক কাগজপত্র তৈরি করছিলেন। সেইসময় দুর্ভাগ্যজনকভাবে মারা যান। অযথা কাউকে রেফার করা হলে তা বন্ধ হবে।”

 

 

 

Previous articleরানিগঞ্জের পরিস্থিতিও বিপদসংকুল: যোশীমঠের প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে তুলোধনা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleটি-২০ সিরিজে রোহিত-বিরাটকে না রাখা নিয়ে এবার মুখ খুললেন গাভাস্কর