প্রশ্নপত্র বিভ্রাটে উর্দুর স্নাতক ফিফথ সেমিস্টারের পরীক্ষা দিলেন না ১০ পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার, মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে (Maharaja Manindrachandra Collage)। স্নাতকস্তরের ফিফথ সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল এদিন। কিন্তু প্রশ্নপত্র বিভ্রাটে চাঞ্চল্য ছড়াল কলেজে।
প্রথমেই বিপত্তি ইতিহাসের (History) প্রশ্নপত্র নিয়ে। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও প্রশ্নপত্র না পৌঁছনোয় ঘাবড়ে যান পরীক্ষার্থীরা। উদ্বিগ্ন হয় কলেজে কর্তৃপক্ষও। শেষপর্যন্ত দেরিতে আসে প্রশ্নপত্র। দুপুর ২.৪৫ মিনিট থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। উত্তর লেখার জন্য পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সেই ঘটনা মিটতে না মিটতেই অন্য বিভ্রাট দেখা দেয়। উর্দুভাষার পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের অন্য প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের যে পত্রের পরীক্ষা তার বদলে উর্দুতে A-1 2021 প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তুমুল হৈচৈ বেধে যায়। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক জানান, বঙ্গবাসী কলেজের প্রাতঃবিভাগ উর্দু পরীক্ষার (Urdu Examination) সিট পড়েছিল তাঁদের কলেজে। প্রশ্নপত্র বিভ্রাটের জেরে তাঁরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনিও ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত ১০ পরীক্ষর্থী হল ছেড়ে বেরিয়ে যান। বাকিরা অতিরিক্ত সময় নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, আলি সুফিয়ান (Ali Sufiyan) নামে এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, ১০জন নন, প্রায় ২০জন পরীক্ষার্থী সাদা খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে এসেছেন। পরীক্ষা দিয়েছেন মোটে দুজন। সুফিয়ানের অভিযোগ, প্রথমে বলা হয়, তাঁদের পরীক্ষা আবার নেওয়া হবে। কিন্তু কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখার পরে বলা হয়, ওই প্রশ্নপত্র থেকেই যেটা পারবে, সেটার উত্তর দিতে। কিন্তু এই নির্দেশ মানতে চাননি পরীক্ষার্থীরা। পরিবর্তে তাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে বেরিয়ে আসেন। বুধবার, সকাল ৯টায় তাঁরা বঙ্গবাসী কলেজে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেবেন। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করুক। তাঁদের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়া হোক। এখন এই বিষয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।