কেন্দ্রে অ-বিজেপি সরকার আসবেই! ‘জুমলাবাজি’ প্রকাশ্যে এনে ‘মোদি বিদায়ের’ ডাক দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের

নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP Govt) দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামো এবং সংসদীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ও দেশের মধ্যে ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করে এক গভীর সংকটের দিকে দেশকে ঠেলে দিচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আবহে ফের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংগঠনের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদি সরকারের জুমলাবাজি প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হল। এদিন গণমঞ্চের তরফে কেন্দ্রের একাধিক গাজোয়ারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিরোধীতা করে বলা হয়েছে, সংবিধানে স্বীকৃত জনজাতি, আদিবাসী, দলিত, সমাজের অণগ্ৰসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে একেবারেই তুলে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি-আরএসএস। আরএসএস প্রথম থেকেই এই সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিরোধী। পাশাপাশি ইতিমধ্যে বিজেপি নেতারাও প্রকাশ্যে বলতে শুরু করেছেন ২০২৪ নির্বাচনে জিতলে এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে।


তবে শুধু সংরক্ষণ তুলে দেওয়াই নয়, চলতি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাদের পায়ের তলার জমি নরম হচ্ছে বুঝতে পেরেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। আর সেকারণে প্রথম দফার নির্বাচনের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক বিভাজনের লক্ষ্যে ঘৃণাভাষণ দিচ্ছেন। মোদির এই ঘৃণাভাষণ যে কোনও মুহূর্তে দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলেও এদিন আশঙ্কাপ্রকাশ করেছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ। পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের কথা মনে করিয়ে গণমঞ্চের অভিযোগ, সেখানে বিজেপি সাম্প্রদায়িক অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলেও রাজ্য প্রশাসন ও স্থানীয়দের বিরোধীতার কারণে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। পাশাপাশি এদিন নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে সংবাপত্রেও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছিল। এদিন সেই বিষয়েও নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।


তবে এখানেই শেষ নয়, এদিন মোদির তদন্তকারী সংস্থা ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরকে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র মোদি সরকারের দেখানো পথে বিরোধীদের হেনস্থা করাই নয় বিরোধীদের ভয় দেখিয়ে টাকা বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগও তোলা হয়েছে। তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে মঞ্চের সদস্যরা। কিন্তু চলতি নির্বাচনে কমিশনের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভপ্রকাশ করে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের অভিযোগ, চলতি নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করেছে কমিশন। কমিশন মোদি সরকারের দেখানো পথে কাজ করে চলেছে।

Previous articleবাংলাদেশের সাংসদের শেষ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে
Next articleএক মঞ্চে আসুন, কে ঠিক কে ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে: মোদিকে চ্যালেঞ্জ মমতার