চিনে অস্বাভাবিক হারে কমছে জনসংখ্যা! ফিরছে ১৯৬০ সালের ভ*য়াবহতা

চিনের অর্থনীতির বড় অংশ নির্ভর করে সেদেশের জনসংখ্যার উপর। বিশ্ব অর্থনীতিতেও এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তবে চিনের জনসংখ্যার গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী হওয়ায় বেশ চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।

চিনে (China) অস্বাভাবিক হারে কমছে জনসংখ্যা (Population)। ১৯৬০ সালের পর ফের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে চিন। সেই তুলনায় পাল্লা দিয়ে কমছে জন্মহার (Birth Rate)। কোভিড মহামারী কেড়ে নিয়েছে অসংখ্য মানুষের জীবন। সম্প্রতি ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিক্স-এর (National Bureau Statistics) এক সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বিগত ৬০ বছরে এই প্রথমবার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছে চিন।

চিনের অর্থনীতির বড় অংশ নির্ভর করে সেদেশের জনসংখ্যার উপর। বিশ্ব অর্থনীতিতেও (World Economy) এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। তবে চিনের জনসংখ্যার গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী হওয়ায় বেশ চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। রিপোর্ট অনুযায়ী বলা যায়, ১৪১ কোটির চিনে গত বছর জনসংখ্যা কমেছে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার। সেখানে একই সময়ে জন্ম হয়েছে ৯৫ লক্ষ শিশুর। এছাড়া ২০২২ সালে কোভিড ও অন্যান্য কারণের জেরে ১ কোটি ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিকসের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে চিনে জন্মহার কমে ১৩ শতাংশ হয়েছে। গত বছর প্রতি হাজার জনের হিসাবে চিনে শিশু জন্মহার ছিল মাত্র ৬.৭৭ শতাংশ। ১৯৭৮ সালের পর যা সর্বনিম্ন। এমন অবস্থায় মধ্য বয়সি ও বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনের অর্থনীতিতে এর খারাপ প্রভাব পড়বে। ধাক্কা খাবে বিশ্ব অর্থনীতিও। অন্যদিকে জনসংখ্যার কমার কারণে কর্মঠ শ্রমিকদের সংখ্যাও কমছে।

 

 

Previous articleচিকিৎসায় গাফিলতি ! বেসরকারি হাসপাতালকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
Next articleসার্বিক শিক্ষার প্রসারে অনলাইন শিক্ষার উপর জোর রাজ্যপালের