বিচারপতি নিয়োগ ইস্যুতে মুখ পুড়ল মোদি সরকারের! সুপ্রিম ‘সত্য প্রকাশে’ ব্যাকফুটে কেন্দ্র

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রীতিমতো বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

গত কয়েক মাস ধরেই বিচারপতি নিয়োগ ইস্যুতে স্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু (Kiren Rijiju) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) সমালোচনা করেছিলেন। এবার আইন মন্ত্রক কলেজিয়ামের (Collegium) সুপারিশ করা কয়েকজন আইনজীবীকে কোন কারণে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করতে চাইছে না, তা প্রকাশ্যে নিয়ে এল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।

দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court) আইনজীবী সৌরভ কৃপাল (Saurabh Kripal) সমকামী বলেই কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক তাঁকে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগে আপত্তি তুলেছিল। মাদ্রাজ হাই কোর্টের আইনজীবী আর জন সথ্যান এবং বম্বে হাই কোর্টের আইনজীবী সোমশেখর সুন্দরেসন সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন বলেই আইন মন্ত্রকের কুনজরে পড়েন তাঁরা। আর সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়ল কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রীতিমতো বিরোধীদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার যে পছন্দের বিচারপতিদের দিয়ে আদালত চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট। পাশাপাশি মোদি সরকারের আসল স্বরূপ সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তথা কলেজিয়ামকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিকে শুক্রবারই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে (D Y Chandrachud) চিঠি দিয়ে জানান, বিচারপতি নিয়োগে রাজ্য সরকারগুলিকেও শামিল করা উচিত। হাই কোর্টের বিচারপতি নিয়োগে সুপারিশের অধিকার দেওয়া হোক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। তাঁর যুক্তি, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের ক্ষেত্রে এমনিও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাছাড়া বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বর্তমান মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিওর বা নিয়মেও মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্র সরকারের নাম সুপারিশ করার অধিকার আছে।

তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, মোদি সরকার আদপে আদালতে নিজের পছন্দের লোক বসিয়ে বিচারবিভাগকে কুক্ষিগত করতে চাইছে কারণ, বিচারবিভাগ এখনও তাঁদের অধরা। এই কারণেই ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগে আপত্তি তুলে নিজেদের মন পসন্দ লোক চাইছেন তাঁরা।

 

 

Previous articleপ্রধানমন্ত্রীরও রেহাই নেই! গাড়িতে সিটবেল্ট না পরে জরিমানার মুখে ঋষি
Next articleটানা তিনদিনের বিক্ষোভ থেকে বিরতি নিলেন ভারতীয় কুস্তিগিররা