দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০০২ সালের গুজরাত হিংসার উপর বিবিসি’র তৈরি করা তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে জামিয়া মিলিয়ায় কার্যত দাদাগিরি চালাল অমিত শাহের পুলিশ।
তথ্যচিত্র বন্ধ করতে জামিয়া মিলিয়া চত্বরকে কার্যত দুর্গ বানিয়ে ফেলেছিলেন অমিত শাহ। র্যাফ, দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীও। ক্যাম্পাসের বাইরে কাঁদানে গ্যাসের শেল হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। অর্থাৎ, একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দৃশ্যতই যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নেয় দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বর।
বিবিসির তথ্যচিত্রের ‘স্ক্রিনিং’ শুরুর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রনেতাকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। প্রতিবাদে বিকেলে জামিয়ার ৭ নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং মিছিলের ডাক দেন বামপন্থী ছাত্রনেতারা। এসএফআই এবং আইসার অভিযোগ, বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরুর আগেই একের পর এক প্রতিবাদকারী ছাত্রনেতাকে আটক করে গাড়িতে তোলে পুলিস। মুহূর্তের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। কার্যত ‘সিল’ করে দেওয়া হয় প্রত্যেকটি প্রবেশ পথ। রাত পর্যন্ত থমথমে ছিল ক্যাম্পাসের পরিবেশ। তথ্যচিত্র আর দেখানো হয়নি। অন্যদিকে, উত্তেজনা ছিল জেএনইউ ক্যাম্পাসেও। তাই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়।