অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে নয়া মোড়, প্রেস বিবৃতি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

এ বার প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করলেন, অমর্ত্যের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ যে জমিতে তৈরি হয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়েরই।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি নিয়ে বিতর্কে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ফের জমি দখলের অভিযোগ তুলল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় অবিলম্বে সেই জমি ফিরিয়ে দেওয়ারও আবেদন জানিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন। তরজার মধ্যে এ বার প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দাবি করলেন, অমর্ত্যের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’ যে জমিতে তৈরি হয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়েরই।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, বেদখল হওয়া ৭৭ একর জমি ইতিমধ্যেই পুনরুদ্ধারে নেমেছে বিশ্বভারতী। সেই সূত্রেই চিঠি দেওয়া হয়েছে অমর্ত্যকে। বিশ্বভারতীর বক্তব্য, বিষয়টি মিটমাটের জন্য নোবেলজয়ীর কাছে দু’টিই পথ খোলা রয়েছে। একটি হল, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে। দুই, আইনি প্রক্রিয়া।

বিশ্বভারতী দাবি করেছে, ১৯৪৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী, অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে ১.২৫ একর জমি লিজ দিয়েছিল বিশ্বভারতী। ১.৩৮ একর নয়। এই বিষয়টি আগের দুই চিঠিতেই অমর্ত্যকে জানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ১৯৪৩ সালের সেই চুক্তি এবং ২০০৬ সালের কর্মসমিতির প্রস্তাব, কোথাও আশুতোষ বা অমর্ত্যকে বিশ্বভারতীর কোনও জমিরই মালিক হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি।

বীরভূমের জেলাশাসক বলেছেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে যে নথি রয়েছে, সেই অনুযায়ী অমর্ত্য সেনের পরিবারের নামে ১ একর ৩৮ শতক জমি দীর্ঘমেয়াদি লিজ়ে রয়েছে।’’ এই বিষয়ে একটি সরকারি নথিও (সেটির সত্যতা বিশ্ব বাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, শান্তিনিকেতনের ১.৩৮ একর জমি দীর্ঘমেয়াদি লিজ দেওয়া হয়েছিল অমর্ত্যের বাবা আশুতোষ সেনকে।

অমর্ত্য সেন বলছেন, তাঁরা আমাকে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে অনেকগুলি মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া রয়েছে। এই ধরনের মিথ্যাচারের উত্তর দেওয়ার আগে, আমি পরীক্ষা করে দেখব যে তাঁরা কী ভাবে এই কথা বলছেন।’ প্রয়োজনে তিনি আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন।

 

Previous articleমাদার হাউসে সস্ত্রীক শ্রদ্ধা নিবেদন রাজ্যপালের
Next articleরোহিতের পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের একহাত নিলেন অশ্বিন