মোদির তথ্যচিত্র সম্প্রচারে ‘না’ কেন্দ্রের! আগামী সোমবার জনস্বার্থ মামলার সুপ্রিম শুনানি

তথ্যচিত্রটিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার এই সিদ্ধান্ত চরম ‘স্বেচ্ছাচারপ্রসূত’ এবং ‘অসাংবিধানিক’। পাশাপাশি এই বিষয়ে আরও একটি মামলা রুজু করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এন রাম এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি হবে।

গুজরাট দা*ঙ্গা (Gujrat) ও নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র (BBC Documentary) ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন’-এর (India: The Modi Question) সম্প্রচার (Broadcasts) ভারতে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা (PIL)। ইতিমধ্যে জরুরি নির্দেশিকা জারি করে দেশের যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে বিবিসির ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্র সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। আর এরপরই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী এমএল শর্মা (ML Sharma)। তিনি জানিয়েছেন, তথ্যচিত্রটিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার এই সিদ্ধান্ত চরম ‘স্বেচ্ছাচারপ্রসূত’ এবং ‘অসাংবিধানিক’। পাশাপাশি এই বিষয়ে আরও একটি মামলা রুজু করেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এন রাম (N Ram) এবং আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ (Prashant Bhushan)। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি হবে।

আইনজীবী সিইউ সিং (CU Singh) শীর্ষ আদালতে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে সমস্ত সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বিবিসির তথ্যচিত্রটি। দেশের বহু বিশিষ্ট মানুষ তথ্যচিত্রটি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করার পর সেগুলো তুলে নেওয়া হয়। পাশাপাশি তথ্যচিত্রটি দেখাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও।

এদিকে আইনজীবী এম এল শর্মা এবং আইনজীবী সিইউ সিং সংশ্লিষ্ট জনস্বার্থ মামলাগুলি দ্রুততার সঙ্গে শুনানির আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud), বিচারপতি পি এস নরশিমা এবং বিচারপতি জে বি পরদিওয়ালার বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, আগামী সোমবার মামলাটি শুনবেন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, বিবিসির তথ্যচিত্রটির প্রথমাংশ ইতিমধ্যেই ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র সাফ জানিয়েছে ভারতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও এই তথ্যচিত্র সম্প্রচার করা যাবে না। পাশাপাশি ইউটিউবকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন এই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত সমস্ত লিঙ্ক ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টুইটারকেও। আর কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় দায়ের হয়েছে একাধিক জনস্বার্থ মামলা। কিছু দিন আগেই কেন্দ্রের তরফে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। দু’দশক আগে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। তবে বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। আর মোদি সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন বিরোধীরা।

 

 

Previous articleরাজনৈতিক লোকেরা কি বই লিখতে পারেন না? নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর, ৬টি নতুন বই প্রকাশ মমতার
Next articleবলি কাঁপিয়ে এবার হলিউড জয় পাঠানের, ৫ দিনে আয় ৫০০ কোটি !