দিল্লি রাজনীতি বেশি করছে, উন্নয়নমূলক কাজে নেই: কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

এই নিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে নাম না করে লিশানা করেন মমতা। মতুয়া নিয়ে বিজেপি-র ভোট রাজনীতি নিয়েও কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো।

কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মালদহে ৩ জেলার সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের টাকা নিয়ে রাজনীতি করে, প্রকল্পের টাকা দেয় না অথচ কেন্দ্রীয় টিম পাঠায়।” এই নিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে নাম না করে লিশানা করেন মমতা। মতুয়া নিয়ে বিজেপি-র ভোট রাজনীতি নিয়েও কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো।

দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার প্রকল্পের বকেয়া টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব গর্ব করে বলেন, তাঁরা বাংলার টাকা আটকে রাখার জন্য আবেদন করেছেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য়ে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই পরিস্থিতি কেন্দ্রকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ”আমাদের টাকা নিয়ে রাজনীতি করে, প্রকল্পের টাকা দেয় না অথচ কেন্দ্রীয় টিম পাঠায়।” মমতার কথায়, ”রাজনীতি বেশি করে আমাদের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয় না, তার উপর কেন্দ্রীয় সরকারের টিম পাঠিয়ে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। উন্নাও, উত্তর প্রদেশ বা গুজরাটে কোনও ঘটনা ঘটলে কটা টিম যায়? মাথায় উকুন হলে মেরে দিতে হয়। বাড়িতে ছাড়পোকা থাকলে তা মেরে দিতে হয়। আমরা মানুষের মৃত্যুর কথা বলছি না। যাঁরা মিথ্য কথা বলছেন, জেনে নিন বাংলার সবাইকে একদিন আপনাদের সকলকে স্যালুট জানাতে হবে।”

সংখ্যালঘু থেকে ওবিসি স্কলারশিপ বন্ধ করে দেওয়ায় মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্র যেসব স্কলারশিপ বন্ধ করছে, তা চালু করেছে রাজ্য সরকার।

মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে NRC, CAA প্রসঙ্গ তুলে মোদি সরকারকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”মতুয়াদের জন্য আমরা সবটা করেছি। বিজেপি নির্বাচন এলে একটু ভাত খেয়ে বলবে আমরা মতুয়াদের বন্ধু। এনআরসির নামে সকলকে জেলে বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে, সিএএ-র নামে ভুল বোঝানো হয়েছে। মতয়ুা মা বীনাপাণি দেবী বেঁচে থাকার সময় তাঁর চিকিৎসার সব ব্যবস্থাও আমি করেছিলাম। তখন কেউ তাকিয়ে দেখেনি।”

রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ানও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে জলস্বপ্ন প্রকল্পে মালদহ-উত্তর দিনাজপুর- দক্ষিণ দিনাজপুরের লক্ষ লক্ষ বাড়িতে পানীয়জল পৌঁছে যাবে।


Previous articleমালদহে দুর্ঘ*টনায় নি*হতদের পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, মিজোরামে মৃ*ত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য
Next article‘বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সহবাস’ মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, মুক্ত অভিযুক্ত